খবর৭১ঃ নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এতগুলো মানুষ মারা গেল, এর দায় কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। দায় এড়ানো যাবে না।
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
রিটটির শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ইয়াম খন্দকার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. নুর-উস-সাদিক।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আমাদের শুনানি গ্রহণ করেছেন। আমরা সংবিধানের ৩২ ধারা তুলে ধরে বলেছি, মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দূর্ঘটনার আগে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। তারা মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি যদি মিথ্যাও হয়ে থাকে তারপরও এটা মেরামতের দায়িত্ব তো তিতাসের।
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ইয়াম খন্দকার জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সচিব, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের ওই মসজিদে বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ বাকি ৯ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।