খবর৭১ঃ
হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতকঃ ছাতকে ৩ দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক গ্রামীণ সড়ক। উপজেলা সদরের সাথে সকল ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো বন্যা ও বন্যা পরবর্তী সময়ে। সাধারণ মানুষের চলাচল ও যানবাহন চলাচলের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সড়কের ভাংগা অংশ সংস্কার করেছেন স্থানীয় লোকজন।
এলাকাবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও সড়ক, ছাতক-জাউয়া সড়ক, কালারুকা সড়ক, দোলার বাজার সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কে সংস্কার কাজ করছেন স্থানীয়রা। এসব সড়ক দিয়ে এখন ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বন্যা পরবর্তী কোন সড়কেই সরকারি ভাবে সংস্কার কাজ করা হয়নি। ছাতক-জাউয়া, নোয়ারাই থেকে -দোয়ারাবাজার, বাংলাবাজার, নরশিংপুর সড়ক, নোয়ারাই- মানিকপুর সড়ক, কৈতক-হায়দরপুর, জালালপুর-দোলারবাজার, আলীগঞ্জ, রসুলগঞ্জ সড়ক, লাকেশ্বর, চরমহল্লা, হাবিদপুর, আমের তল-নাদামপুর,মইশাপুর -কাঞ্চনপুর, বুড়াইরগাও-আলমপুর, জাতুয়া- খুরমা সড়কসহ অনেক গুলো গ্রামীণ সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের অধিকাংশ পাকাসড়ক তিন দফা বন্যায় মারাত্মক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনেক কাচা সড়কের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ছাতকের বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ কিছুটা সচল করেছেন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করে স্থানীয় লোকজন। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কিছু কিছু সড়কে মাটি ভরাট করে দিয়েছেন। উপজেলার ইসলামপুর, নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, চরমহল্লা, উত্তর খুরমা, জাউয়াবাজার, দক্ষিণ খুরমা, ভাতগাও, সিংচাপইড়, দোলারবাজার, ছৈলা আফজালাবাদ, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়কগুলো সংস্কারে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের তথ্যমতে বন্যায় ছাতকে প্রায় ৬’শ কি.মি. কাচা-পাকা সড়ক পুরোপুরি ও আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কেএম মাহবুব রহমান জানান, বন্যায় গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর মিয়া জানিয়েছেন, বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সড়ক সার্ভে করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।