খবর৭১ঃ কয়েকদিন ধরে সাগর ও নদীতে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। সরবরাহ বাড়ায় বাজারে ইলিশের দামও কমেছে। কর্মচাঞ্চল্যে মুখর এখন মৎস্য আড়তগুলো। বিশেষ করে বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে যেন ইলিশের মেলা বসছে।
এদিকে সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দামও কমেছে। পাথরঘাটায় ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৮শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি ইলিশের মণ ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ৫শ’ গ্রামের নিচের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা মণে।
মহিপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ বিক্রি করতে আসা কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের জেলে জয়নাল ফকির বলেন, প্রতিদিন সকালে আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ নিয়ে অনেকগুলো ট্রলার ভিড়ছে। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় দামও কমেছে।
তিনি জানান, ১৫ দিন আগে প্রথম গ্রেডের অর্থাৎ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মণ ছিল ৪০ হাজার টাকা; বর্তমানে ২৪ হাজার টাকায় কিনছেন আড়তদাররা। দ্বিতীয় গ্রেডের অর্থাৎ ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ছিল ৩০ হাজার টাকা; তা এখন ১৫-১৭ হাজার টাকায় কিনছেন আড়তদাররা। মাছ বেশি ধরা পড়ায় দাম কমে গেছে। তবে কয়েকদিন পর দাম বেড়ে যাবে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার পায়রাগঞ্জ এলাকার জেলে মালেক মিয়া বলেন, নদীতে আগের চেয়ে ইলিশ বেড়েছে। ইলিশ বেশি ধরা পড়ায় এখন দামও কম। সোমবার সকালে ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ২৫০-৩০০ টাকা বিক্রি করেছি।
সূত্র জানায়, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৪ জুলাই থেকে মাছ ধরতে সাগরে যাওয়ার অনুমতি মেলে জেলেদের। কিন্তু তখন ইলিশ ধরা পড়েনি। তবে গত কয়েক দিন ধরা পড়ছে প্রচুর। এখন দীর্ঘদিন বসে থাকায় যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন জেলেরা।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে কক্সবাজার, ভোলা, নোয়াখালী, পটুয়াখালীর বেশ কয়েকটি ট্রলার নোঙর করছে। কথা হয় কয়েকজন জেলের সঙ্গে। তারা জানান, দ্রুত মাছ বিক্রি করে আবার সাগরে যাবেন। এখন ইলিশ ধরা পড়ছে। যতটা পারেন ধরার চেষ্টা করবেন।
উপকূলীয় ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গত দুইদিন প্রচুর ইলিশ নিয়ে ট্রলার ভিড়ছে। এসব ট্রলার থেকে প্রায় ১২ হাজার মণ ইলিশ পাওয়া গেছে।