খবর৭১ঃ সরকারি বাসভবনে ঢুকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে গৃহকর্মী জোবাইদা বেগম (৩৮) ও পরিচ্ছন্নকর্মী অরসোলা হেম্ব্রম (৩৮) কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের ডিবি কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
আটক গৃহকর্মী জোবাইদা বেগম ঘোড়াঘাট উপজেলার চকবামুনিয়া গ্রামের মাহাবুব হোসেনের স্ত্রী এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী আরসোলা হেম্বমের বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলায়। ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে প্রধান আসামি যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আসাদুল ইসলাম, রংমিস্ত্রী নবীরুল ইসসলাম ও সান্টু কুমারকে এই মামলায় গ্রেফতার করে প্রত্যেককে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আসাদুল ইসলামের রিমান্ড শুরু হয়েছে রোববার থেকে। আর নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসের রিমান্ড শনিবার শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে দুস্কৃতিকারীরা ইউএনও ওয়াহিা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে নির্মমভাবে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। বর্তমানে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে এবং তার বাবা ওমর আলী শেখ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন ইউএনও ওয়াহিা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীন। পরবর্তীতে মামলাটি দিনাজপুর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং মামলার তদন্তভার দেয়া হয় ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফরকে।