প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে চুল স্মুথনিং

0
422
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে চুল স্মুথনিং

খবর৭১ঃ অনেকেই চুল স্মুথনিংয়ের ভক্ত আছেন যারা এখনও রিবনডিং করার জন্য পার্লারে ছুটে যাচ্ছেন বা স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল সোজা করছেন। এক ঘেয়েমি কোঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো স্টাইল আপনার লুকটাকে বোরিং করে তুলছে।

অন্যদিকে চুল স্মুথনিংয়ের জন্য পার্লারে গেলে খরচ হয় কম করে হলেও ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আবার এর জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়!

চুলে এই সব ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ। এ ছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত চুল ঝরা, চুলের আগা ফেটে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই যদি এমনটি হয় কোন রকম কেমিকেল বা হিট ছাড়াই আপনি পেয়ে যাচ্ছেন আপনার মনের মত হেয়ার স্টাইল তাহলে কেমন হয়। সহজলভ্য ঘরোয়া উপাদান যা আপনার হাতের কাছেই আছে।

এই উপাদানগুলোকে কাজে লাগাতে পারেন কীভাবে আপনি প্রাকৃতিকভাবে চুল স্মুথনিং করতে পারেন।

এছাড়াও করোনা আতঙ্কের আবহে পার্লারে গিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না! তাহলে কী চুলের স্টাইলিং করবেন না। প্রাকৃতিক উপাদান নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের কোনও ক্ষতি না করেই পেতে পারেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, সোজা সুন্দর চুল।

তবে এই পদ্ধতিতে একটু ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে। টানা কয়েক সপ্তাহ ঘরোয়া মিশ্রণ কাজে লাগিয়ে দেখুন আর ফলাফল পান হাতেনাতে। এ বার ঘরোয়া এই হেয়ার প্যাক-এর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি কী কী তা জেনে নিন।

হেয়ার প্যাক-এর জন্য যা যা লাগবে

২ চামচ কর্ণফ্লাওয়ার

২ চামচ লেবুর রস

১০০ মিলিলিটার পানি

৬ চামচ অ্যালোভেরা জেল

২ কাপ নারিকেল কোড়ানো

২ চামচ ক্যাস্টর অয়েল
হেয়ার প্যাক বানানোর পদ্ধতি

২ কাপ কোড়ানো নারিকেল, ১০০ মিলিলিটার পানি এবং ৬ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। বেশ ঘন একটা পেস্ট তৈরি করে পাতলা কাপড়ে মিশ্রণটা বেঁধে একটি পাত্রের উপর রেখে নিংড়ে নিন। অ্যালোভেরা জেল মেশানো নারিকেলের দুধ পেয়ে যাবেন।

অন্য একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার আর ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ভাল করে মিশিয়ে করে নিন।

এবার সামান্য আঁচে কোনও ননস্টিক পাত্রে নারিকেলের দুধ আর পরে বানানো কর্ণফ্লাওয়ার, লেবুর রস আর ক্যাস্টর অয়েলের মিশ্রণটি ঢেলে ভাল করে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে আঁচ থেকে নামিয়ে অন্তত আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।

এরপর পুরো মাথার চুলকে কয়েক ভাগে ভাগ করে চুলের গোঁড়া থেকে মাথায় ভাল করে মিশ্রণটি মেখে নিন।

ঘণ্টা দেড়েক এইভাবেই রেখে দিন। কারণ মিশ্রণটি যত সময় রাখতে পারবেন, তত ভাল ফল পাবেন। এই অবস্থায় চুল ভুলেও বাঁধবেন না। চিরুনি দিয়ে সোজা করে আঁচড়ে নিয়ে বসে থাকুন।

ঘণ্টা দেড়েক আপনার নিয়মিত ব্যবহারের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ড্রায়ারে নয়, প্রয়োজনে ফ্যান চালিয়ে বা পারলে স্বাভাবিক ভাবে চুল শুকিয়ে আঁচড়ে নিন। ব্যস, আপনার ঢেউ খেলানো বা কোঁকড়ানো চুলগুলো অনেকটাই সোজা হয়ে গিয়েছে। এরই সঙ্গে হয়ে গিয়েছে সুন্দর ঝলমলে। ভাল ফলাফল পেতে প্রতি সপ্তাহে এই ‘হেয়ার প্যাক’ অন্তত একবার ব্যবহার করুন। যাদের চুল কোঁকড়ানো, তাদের একটু বেশি সময় লাগবে স্বাভাবিকভাবে চুল স্মুথনিং-এর জন্য।

চুলের স্বাস্থ্য আর স্টাইলিং একসঙ্গে পেতে শুধু একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কিন্তু খরচ হবে নামমাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here