খবর৭১ঃ দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫মিনিটের দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারভেসনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি বলা যায়, তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
চিকিৎসকরা জানান, দুর্বৃত্তের হামলায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার বাম দিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাথার কিছু অংশ ভেঙে মস্তিষ্কের ভেতরে প্রেশার তৈরি করেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটি অপসারণ করা গেলে অবস্থার উন্নতি হবে এমন আশা থেকে তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে হাসপাতালে কথা বলেছি। এখন তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে তার প্রেসারটা আপ-ডাউন করছে। যদিও সাক্ষাৎকারে তার প্রেসার ৮০/১২০ এর মধ্যে ছিল।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।