খবর৭১ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তার পরিবার থেকে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করা হয়। বুধবার এ আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে।
এদিন দুপুরে এ আবেদনের চিঠিটি পেয়েছেন বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আজ (বুধবার) দুপুরে আমার কাছে চিঠিটি এসেছে। আমরা এ বিষয়ে বসে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।
এর আগে গত সোমবার আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির যে আবেদন করা হয়েছে সেখানে কী লেখা হয়েছে- তা দেখে এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, তিনি একটি দরখাস্ত পেয়েছেন। যেহেতু আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ছয় মাস (খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ) শেষ হয়ে যাবে, তারা সেটির এক্সটেনশন চেয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া জামিনে নেই, কোনো আদালত তাকে জামিন দেননি। গত মার্চ মাসে তার পরিবার থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল যেন চিকিৎসার জন্য তাকে নির্বাহী আদেশে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার জন্য এবং গত ২৫ মার্চ সেই আদেশে তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তি পেয়েছেন।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়ার সময় আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছয় মাসের ওই মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। তার আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার সাজায় কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।