খবর৭১ঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেসব গণপরিবহনে সরকারি নির্দেশনা মানা হবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, অনেক পরিবহন নিয়ম মেনে গাড়ি চালায়। করোনাকালেও অনেকে নিয়ম মেনে চলেছে। কিন্তু কিছু কিছু পরিবহন নিয়ম মানছে না। যারা সরকারি নির্দেশনা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বাসে সরকার অনুমােদিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শনের বিধান রয়েছে। এ বিধান কার্যকর করতে আমি বিআরটিএ ও মালিক সমিতিকে অনুরোধ করছি।
আগের ভাড়ায় ফেরা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ থেকে গণপরিবহন করোনাকালের জন্য সমন্বয় করা ভাড়ার পরিবর্তে আগের ভাড়ায় ফিরেছে। জনস্বার্থে এবং যাত্রীদের স্বার্থে আমি সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতা কামনা করছি। গণপরিবহনে ভ্রমণকালে যাত্রীসহ পরিবহনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে।
তিনি বলেন, যত আসন তত যাত্রী। অর্থাৎ দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সাবানের পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এছাড়া ট্রিপের শুরু এবং শেষে পরিবহনকে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
জনস্বার্থে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ম মানার অনুরোধ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি জনস্বার্থে এ নিয়ম বা শর্ত মেনে বাস, মিনিবাস চালানোর অনুরোধ করছি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সক্রিয় থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের শোকের মাস শেষ হয়েছে। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু করার আহবান জানাচ্ছি।
আগামীকাল দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় কিছু নির্দেশনা আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাসে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।