খবর৭১ঃ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
দ্বিতীয় দফা চার দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বেলা ৩টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ-৩ আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলমের চার দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক তামান্না ফারাহ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে আসামিদের পুনঃরিমান্ডের বিরোধিতা এবং জামিন আবেদনে শুনানি করে চট্টগ্রাম থেকে আসা ৭/৮ জনের একটি আইনজীবী দল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলমের আবেদনে গত ২৪ আগস্ট ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশের দ্বিতীয় দফায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে একই আদালত। এর আগে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর এপিবিএনের তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
গত ৫ আগস্ট এ ঘটনায় কক্সবাজার সিনিয়র জুশিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে প্রদীপসহ পুলিশের নয়জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ পৃথক তিনটি মামলা করেছে। পরে সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত পুলিশের সাতজন, এপিবিএনের তিনজন এবং স্থানীয় তিনজন বাসিন্দা (পুলিশের মামলার সাক্ষী) গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলা তদন্ত করছে র্যাব।