খবর৭১ঃ করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। এরই মধ্যে ধীরে ধীরে সব ডিভিশনে চালু হচ্ছে ট্রেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ২৫ মার্চ সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। পরে সরকারের নির্দেশনায় ৩১ মে থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ৬০টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ৩৬টি ট্রেন চালু হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর ৩৮টি ট্রেন চালু হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মেইল, লোকাল, কমিউটার ও আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার কথা রয়েছে। রেলওয়েতে বর্তমানে ৩৬৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন রয়েছে। যার মধ্যে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন। সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে এবং মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকিট কাউন্টার থেকে দেয়া হবে।
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বুধবার বিকালে জানান, রেলে বর্তমানে ৩৬৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন রয়েছে। সবক’টি ট্রেন আমরা সেপ্টেম্বরে চালু করতে চাচ্ছি। ২৭ আগস্ট ও ৫ সেপ্টেম্বর ৭৪টি ট্রেন চালু হচ্ছে। আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যাত্রার দিনসহ ১০ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রীত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। রেলে দীর্ঘদিন আন্তঃনগর ট্রেনের বিপরীতে স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু করা হতো। ৩১ মে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হয়। যতদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ শেষ না হচ্ছে, ততদিন ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে এবং স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। রেলওয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি ও রেলওয়ের নির্দেশনা না মেনে স্টেশনে প্রবেশ ও ট্রেন ভ্রমণ করতে চাইলে যাত্রীদের জেল-জরিমানা পোহাতে হবে।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেনেও নির্ধারিত আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সবক’টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলেও আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে থাকছে না বালিশ-চাদর-তোয়ালে দেয়ার ব্যবস্থা।