খবর৭১ঃ একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে আজ মঙ্গলবার রাত ৮টায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন শুরু হবে ৩১ আগস্ট।
মঙ্গলবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঞ্জুরুল কবীর বলেন, ‘প্রথম ধাপের ফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। প্রথম ধাপের আবেদনটি গত ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল ২০ আগস্ট রাত ১২টায়। সেখানে আবেদন করেছিল সাড়ে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে আজ ২৫ আগস্ট রাত ৮টায়।’
ফল জানা যাবে যেভাবে
শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে একটি কোড নম্বরসহ এসএমএসে জানানো হবে ফলাফল। এ কোডটি ভর্তির জন্য সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও ওয়েবসাইটেও ভর্তির ফল জানা যাবে।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, এ বছর একাদশ শ্রেণির ভর্তির কার্যক্রম চলবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের www.xiclassadmission.gov.bd থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বিকাশ, নগদ, সোনালী ব্যাংক, টেলিটক এবং রকেটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা যাবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৩১ আগস্ট শুরু হবে। চলবে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুসারে প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে একই দিন (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন চলবে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকfল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে দ্বিতীয় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়। ভর্তি চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বিকেএসপি কোটা বহাল থাকছে। তবে, অন্যান্য কোটা নিয়ে নীতিমালায় কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। একাদশে বিশেষ কোটা হিসেবে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, দশমিক ৫ শতাংশ বিকেএসপি এবং দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসী কোটা বহাল থাকছে। প্রবাসীদের সন্তান ভর্তির বিষয়ে সরাসরি বোর্ডে আবেদন করতে হবে।
এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানের বাংলা মাধ্যম ভর্তির জন্য নয় হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে পাঁচটি কলেজ পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন করতে হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দ অনুসারে তাকে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হবে।