খবর৭১ঃ
এবার জরুরি প্রয়োজনে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীন। এর আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় রাশিয়া।
চীনের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, দেশটির ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজনে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের দেহে স্বল্প পরিসরে এসব ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে।
চীনের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট টাস্কফোর্সের প্রধান ঝেং জংওয়েই চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনকে (সিসিটিভি) বলেন, ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের সম্মতি, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ পরিকল্পনা, উদ্ধার পরিকল্পনা, ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনাসহ একাধিক পরিকল্পনা প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে।
চীনের ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, যখন বিশেষভাবে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা দেখা দেয়, তখন স্বল্প পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা ভ্যাকসিনগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেমন- মেডিকেল কর্মী, মহামারী প্রতিরোধ কর্মী, সীমান্তে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং মহামারী নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাওয়া লোকজনকে রক্ষা করতে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার সিনোফার্ম তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য পেরু, মরক্কো ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি করেছে।
ঝেং জংওয়েই বলেন, এই শরৎ এবং শীতে সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে খাবারের বাজার, পরিবহন ব্যবস্থা এবং পরিষেবা শিল্পে কর্মরত লোকদের মধ্যে ভ্যাকসিনের উপস্থিতি বাড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।
এর আগে চীনের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকস তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পেটেন্টের অনুমোদন পেয়েছে। এটি চীনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম পেটেন্টের অনুমোদন।