খবর৭১ঃ করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে অ্যান্টিবডি টেস্ট এই মুহূর্তে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তাইওয়ান এক্সটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের দেয়া মেডিকেল সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার র্যাপিড টেস্ট করার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে এখন থেকে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। কোনো অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে না।’
সবকিছু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশনা পেয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট যেটা আছে, সেটা আমরা এখন অ্যালাও করব, সীমিত আকারে। সেটা হবে আমাদের হাসপাতালগুলোতে (সরকারি হাসপতাল) এবং আমাদের যে সরকারি ল্যাব আছে, সেখানে। যেখানে আমাদের ল্যাব নেই, সরকারের তত্ত্বাবধানে আমরা সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা আগামীতে করব। অর্থাৎ অ্যান্টিজেন টেস্ট আমরা সরকারিভাবে অ্যালাও করব। কিন্তু অ্যান্টিবডি টেস্ট আমরা এখনো অ্যালাও করব না।’
প্রসঙ্গত, অ্যান্টিজেন হচ্ছে ভাইরাসের প্রোটিন, যা শরীরের ভেতর প্রবেশ করে কোষের প্রোটিন তৈরির পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে শুরু করে। শরীরের ভেতর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস প্রবেশ করলেই শরীর সেটাকে অ্যান্টিজেন হিসাবে গণ্য করে। কারো পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন পাওয়া গেলে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পিসিআর টেস্টের জন্য আমরা যে ফি নির্ধারণ করেছিলাম তা কমিয়ে ২০০ টাকার টেস্ট ১০০ টাকা, ঘরে বসে টেস্ট ৫০০ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছে, যারা টেস্ট করে বিদেশে যান, তাদের সাড়ে তিন হাজার থেকে কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। পিসিআর টেস্ট, একটা ল্যাব থেকে এখন প্রায় ৮৮টি ল্যাবে টেস্ট হয়। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। কারণ কিছু লোকের অনীহা দেখা দিয়েছে।’
ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে দেশের ভ্যাকসিন সাশ্রয়ী পাওয়া যাবে সে দেশ থেকেই দ্রুত আনা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো। সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেকাংশে কমেছে। সুস্থ হওয়ার হারও বাড়ছে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ঘরে থেকে চিকিৎসা নিয়ে করোনা রোগী ভালো হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে হাসপাতালে ৭০ শতাংশ শয্যা খালি পড়ে আছে।’
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ডাক ও টেলিযোযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।