খবর৭১ঃ সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যেসব পুলিশ সদস্য মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। মাদকসেবী সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করা হবে। ডোপ টেস্ট করে পজিটিভ বা মাদক নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাকে চাকরি হারাতে হবে। এ বিষয়ে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যে উদ্দেশ্য ও শক্তি নিয়ে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে নেমেছিলাম, তা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রোববার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিট পুলিশিং ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী থেকে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে মাদকসেবীদের তালিকা করা হবে। আমরা মাদকসেবীদের তালিকা তৈরি করে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনর্বাসনে সহাযোগিতা করবো।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘‘রাস্তাঘাটে যেসব পথশিশু মাদক ও ‘ড্যান্ডি’ খাচ্ছে, তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ, এরাই ভবিষ্যতে বড় হয়ে ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কাজ করতে পারে। শিশুদের কাছে জুতার আঠা বিক্রি করা যাবে না। কেউ শিশুদের কাছে জুতার আঠা বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সভায় জুলাই মাসে সংঘটিত অপরাধ পর্যালোচনা করে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। গত মাসে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ এবং ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। এসময় সন্তুষ্টজনক কাজের জন্য ৩৭ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেন তিনি।