খবর৭১ঃ
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ার সম্পর্কে যা জানি তা দুদকের অনুসন্ধান দলকে বলেছি। তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কে এ মুহূর্তে আমার পক্ষে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে অধ্যাপক আজাদ আরও বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি, তার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আজ আমাকে আসার অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি, তা তাদের বিস্তারিত বলেছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার কিছু পরে টানা দ্বিতীয়দিনের মতো দুদক কার্যালয়ে আসেন আবুল কালাম আজাদ। এরপর সকাল ১০টা থেকে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বাধীন একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মাস্ক-পিপিই ক্রয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনায় জবাব দিতে দুদকে যান ডা. আবুল কালাম আজাদ।
দুটি অভিযোগ অনুসন্ধানে বক্তব্য নেওয়ার জন্য গত ৬ আগস্ট আবুল কালাম আজাদকে তলব করেছিল দুদক। তলবের চিঠিতে আবুল কালাম আজাদকে ১২ ও ১৩ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যখাতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মুখে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রক্রিয়া শেষে ২২ জুলাই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। পরের দিন ২৩ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ডিজি হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।