খবর৭১ঃ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক খরচের বিষয়টি প্রায়ই উঠে আসে গণমাধ্যমে। এমন আস্বাভাবিক খরচ যেন না হয় সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ ৩০টি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সবাই একমত হয়েছেন যে, এসব বিষয় আর মেনে নেয়া যাবে না। এগুলো শোধরানোর জন্য এ বছর থেকেই সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এর বাস্তবায়ন দেখা যাবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, করোনার জন্য নয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেকোনো পরিস্থিতিতে পরিহার করতে হবে। এটা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময় আমি শেয়ার করেছি। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি আমাদেরকে এ সম্বন্ধে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এগুলো গ্রহণ করবেন না। আমাদের কাছ থেকে শুনেন, তা নয়। তার (প্রধানমন্ত্রীর) নিজের নজরেও আসছে। বিশেষ প্রকল্পের রিভিশন নিয়ে তিনি প্রায়ই প্রশ্ন করেন, এত রিভিশন কেন করেন। প্রথমে বললেন দুই-তিন বছরের প্রকল্প। তারপরে এক বছরের মাথায় এসে বলেন, চার বছর লাগবে। আরেক বছর পরে আবার এসে বললেন ব্যয় বাড়াতে হবে। এগুলো তিনি মনে করেন যে, শৃঙ্খলাবিরোধী। এটা আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’
একজন লোকের কাছে চারটা, পাঁচটা, ছয়টা প্রকল্প। ১০টা প্রকল্পও পাওয়া গেছে এমন তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের সার্কুলার বিরোধী, বিধান বিরোধী। তারপরও করে যাচ্ছি এটা। সুনামগঞ্জের প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক ঢাকায়। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আগেও আলোচনা করেছি। আবার আলোচনা করছি। বারবার করে করে এটাকে আমরা শোধরাবার চেষ্টা করছি। শোধরানো দরকার। এ সমন্ধে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা সবাই একমত। আমরা একমত হয়েছি, এসব বিষয় আর মেনে নেয়া যাবে না। এগুলো শোধরানোর জন্য আমরা সবাই আবার একসঙ্গে কাজ করবো।’