খবর৭১ঃ কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারিতে জ্বর-কাশি বা এই ব্যাধিটির কোনো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে তা গোপন করা অপরাধ। এজন্য করোনার কোনো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। অন্যথা মহামারি রোগ গোপন করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে শুক্রবার দুপুরে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন আগেই কোরবানির ঈদ উদযাপন করেছি। পশুর হাটে অনেক লোক সমাগম হয়েছে। ঈদ উৎসব পালন করতেও আমরা অনেকে সমবেত হয়েছি। তাই এই মুহূর্তে যে কারও করোনার লক্ষণ-উপসর্গ থাকলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।’
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘কোনো রকম জ্বর-কাশি হলে গোপন করব না। এই মহামারি রোগ গোপন করা একটি অপরাধ। কাজেই মহামারির কোনো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। এই মহামারি প্রতিরোধে সহায়তা করতে হবে।’
সংক্রামক রোগের কথা গোপন রাখলে জেল-জরিমানা
‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ বিধান অনুযায়ী, সংক্রামক রোগের কথা গোপন রাখার পর এই রোগে আক্রান্ত কারো মাধ্যমে তার বিস্তার ঘটালে তাকে কারাভোগের পাশাপাশি জরিমানা গুণতে হবে।
এই আইনে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটান বা ঘটতে সহায়তা করেন বা স্থানের সংস্পর্শে আসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি গোপন করেন তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
সুস্থ্য কেউ যাতে আক্রান্ত না হন সেজন্য কারো সংক্রামক রোগ হলে সেই তথ্য সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানোর বিষয়ে আইনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত দ্রব্যাদি সরকার বিশুদ্ধ বা ধ্বংস করতে পারবে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে সরকার দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে। সংক্রমিত স্থান বা স্থাপনা জীবাণুমক্ত বা বন্ধ করতেও ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই আইনে উল্লিখিত বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে ও নির্দেশ পালনে অসম্মতি জানালে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এছাড়া সংক্রমণ রোগ নিয়ে মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিলে সর্বোচ্চ দুই মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডিত হবেন।