খবর৭১ঃ
হঠাৎ করে একদিনেই পদ্মার ভাঙনে জেলার নড়িয়া উপজেলায় চরআত্রা ইউনিয়নের ৮১নং বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি একতলা ভবনসহ এলাকার ৫০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের অপর দ্বিতল ভবনসহ বেশকিছু ঘরবাড়ি। বুধবার দুপুর ২টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন।
এছাড়াও গত এক মাসে নড়িয়া উপজেলার ৪টি মসজিদ, একটি নুরানী মাদ্রাসাসহ জাজিরার ৪টি ইউনিয়ন ও নড়িয়া উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ৫০০টি বসতবাড়ি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। স্রোতের গতি আরও বৃদ্ধি পেলে ভাঙন ভয়াবহ হতে পারে বলে স্থানীয় ডা. তৌহিদুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ উজ্জামান ভুইয়া জানান, পদ্মার প্রবল স্রোতে এ যাবত জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর, বড়কান্দি ও নাওডোবা ইউনিয়নের ৪০৩টি বসতবাড়িসহ অনেক ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রুপা রায় জানান, ভাঙনকবলিতদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, পদ্মার স্রোত বাড়ায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্কুল ভবনটি রক্ষার জন্য জিওব্যাগ ডাম্পিং করেও শেষ রক্ষা হল না। তবে ঝুঁকির বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে অবহিত করা ছিল। বর্ষা মৌসুম চলে যাওয়ার পর ওই সব শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চালু রাখার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত কাজ চলছে। ওই সব পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন ও নগদ টাকা দেয়ার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।