খবর৭১ঃ হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর উদ্দেশ্যে এক হাজার হাজী মিনায় পৌঁছেছেন। কয়েকঘণ্টা পর থেকেই থেকেই হজে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবারের হজ হচ্ছে সীমিত পরিসরে।
বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা আর বৃহস্পতিবার কাবা শরীফে গিলাফ পরানো হবে। ১২ জিলহজ পর্যন্ত, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন হাজীরা। খবর আরব নিউজের।
পবিত্র মক্কা শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে মিনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় তাঁবুর শহর হিসেবে খ্যাত। কারণ প্রতিবছর ২৫ লাখের বেশি মানুষ হজে পালন করেন। যারা এই তাঁবুতে অবস্থান করেন।
এবার সৌদি আরবে হজের চিত্র ভিন্ন। এমন হজ আর কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী। প্রাণঘাতী করোনা মোকাবেলায় সল্প পরিসরে পালিত হচ্ছে হজ। শুধুমাত্র সৌদিতে বসবাসকারী বিদেশিরা এই হজে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
করোনা থেকে রক্ষা পেতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার। হজের জন্য মনোনীতদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। হজ শুরুর আগে দুই ধাপে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
চলতি বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা স্বার্থে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ওই পদক্ষেপের আওতায় প্রত্যেক হজযাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন।
সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠিয়েছে। এসব সামগ্রীর বাইরে অন্য কিছু বহন করতে পারবে না হজযাত্রীরা। প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- চিপলাগানো একটি স্মার্ট ব্রেসলেট, দুই সেট ইহরামের কাপড়, ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, জামারাতে নিক্ষেপের জন্য জীবাণুমুক্ত কঙ্কর, জুতা, ফোনের চার্জার, জায়নামাজ, জুতার ব্যাগ, হাতব্যাগ এবং হজের বিধি-বিধানসহ প্রাসঙ্গিক বই-পত্র ও স্বাস্থ্যবিধি সম্বলিত হজ নির্দেশিকা।
যাতায়াতের জন্য প্রতি ২০ জন করে একটি দল করা হয়েছে। প্রত্যেক বাসে বিশজন করে হজযাত্রী চলাফেরা করবেন। প্রত্যেক ৫০ হাজীর জন্য একজন করে চিকিৎসক রয়েছেন।