কখনো গরুর মালা, কখনো খাবার, আবার কখনো ডাব বিক্রি কিংবা পান, সিগারেট বিক্রি করছে প্রতারকচক্র। তারা ছদ্মবেশে পশুর হাটে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সর্বস্ব লুটে নেয়। এজন্য হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতার সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, হাটে গ্রামের সহজ সরল পাইকাররা আসেন। ঈদের কয়েকদিন আগেই ক্রেতা সমাগম হয়। লোকে লোকারণ্য থাকে। লোক সমাগম কিংবা পাইকারের সরলতার সুযোগ নেয় অজ্ঞান কিংবা প্রতারক পার্টি। এজন্য প্রত্যেক হাটে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। রাখা হয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা।
সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, পশু বেচাকেনা এখন পুরোদমে শুরু হয়নি। এরই মধ্যে ট্রাকে ট্রাকে আসছে গরু-ছাগল। অনেকেই এসেছেন গরু দেখতে কিংবা দাম যাচাই করতে। আবার অনেকে কিনছেন।
কমলাপুর হাটের ইজারদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাটে অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। পাইকার ক্রেতাদের প্রতারকচক্র থেকে সচেতন করতে করা হচ্ছে মাইকিং।
মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসির আরাফাত রাইজিংবিডিকে বলেন, হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অজ্ঞান-মলম পার্টি আসলে তাদের রক্ষা হবে না।
শুধু এই হাটেই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন হাটে জাল টাকা, অজ্ঞান বা মলম পার্টির প্রতারক চক্রকে ধরতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া এসবি, ডিবি, এনএসআইয়ের সদস্যরা নজরদারি করছে। হাটের ভেতর বিভিন্ন জায়গা ঘুরছে। আর জাল টাকা শনাক্তের জন্য বসানো হয়েছে শনাক্ত মেশিন।
এদিকে, হাটে আগত ব্যক্তিদের সতর্কতার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্য অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।