খবর৭১ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে আপাতত অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ব্যালট পেপারেই ভোটগ্রহণ করা হবে। গত ১৪ জুলাই বগুড়া-১ এবং যশোর-৬ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের ভোটেও ইভিএম ব্যবহার থেকে বিরত ছিলো ইসি।
ইসি সচিব মো. আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, ইভিএমে মেশিনে ভোট নিতে গেলে একই মেশিন অনেককে ব্যবহার করতে হয়। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই আপাতত ইভিএমে ভোট না করে, ব্যালট পেপারে ভোট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, করোনার মধ্যে সামনে যতগুলো সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন আছে, সেগুলোতেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। সামনে চারটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন করতে হবে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ আসন, পাবনা-৪ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসন।
এছাড়া স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো তো স্থগিত ঘোষণা করেছে ইসি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার কথা থাকলেও এ নির্বাচনটি করোনার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার অর্থাৎ ৫ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি না কাটলে এ সিটিতে মেয়রের পরিবর্তে প্রশাসক নিয়োগ হতে পারে। বর্তমানে নির্বাচনে ইভিএম মেশিনগুলো ব্যবহার না হওয়ায়, কেবল রক্ষণাবেক্ষণেই মনোযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সাংবিধানিক বাধ্যকতার কারণে যেসব জায়গায় নির্বাচন হচ্ছে সেখানে ইভিএম ব্যবহার করা কঠিন। কেননা ইভিএমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেম। একটি মেশিনে একাধিক ব্যক্তির স্পর্শে করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে। এজন্য ইভিএম আপাতত ব্যবহার করা হচ্ছে না।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১০ সালে। সে সময় মেশিনগুলো তৈরি করে দিয়েছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ব্যবহৃত মেশিনগুলো আগের চেয়ে উন্নতমানের এবং দামেও বেশি। এগুলো তৈরি করে দিয়েছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।