খবর৭১ঃ প্রথম আরব দেশ হিসেবে মঙ্গলযাত্রা শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় তানেগাশিমা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সময় গত রোববার দিবাগত রাতে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মনুষ্যবিহীন এই অভিযানটি পরিচালিত হবে আমিরাতের ‘হোপ’ মহাকাশযানের মাধ্যমে। আরবি ভাষায় এই মহাকাশযান ‘আল-আমল’ নামে পরিচিত।
সৌরজগতের লাল গ্রহ মঙ্গল সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে এ অভিযান শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিজ্ঞানীদের আশা, মঙ্গল একসময় মানুষের দ্বিতীয় নিবাসে পরিণত হবে। এর আগে তাঁদের ধারণা ছিল, মঙ্গলে ভিনগ্রহবাসী বা এলিয়েন থাকতে পারে। তবে গ্রহটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কিউরিওসিটি রোভার আজ পর্যন্ত এমন কিছু খুঁজে পায়নি। ২০১১ সালে রোভারটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিযানটি শুরুর সময়সূচি এর আগে দুই দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে। জাপানের তানেগাশিমা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত ৩টা ৫৮ মিনিটে জাপানেরই একটি রকেটে করে হোপকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা আগে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা যেন জ্বলে ওঠে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এই অট্টালিকায় উৎক্ষেপণের প্রতীকী ক্ষণগণনাও করা হয়।
জাপানে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ বিন রাশেদ মহাকাশকেন্দ্রের পরিচালক ইউসুফ হামাদ আল-শাইবানি বলেন, এই অভিযান আমিরাত ও আরব অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। এতে এরই মধ্যে এই অঞ্চলের লাখো-কোটি তরুণকে অসম্ভবকে জয় করতে বড় স্বপ্ন দেখার ও কঠোর পরিশ্রমে অনুপ্রাণিত করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশযানটি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিবিসি জানায়, হোপ অভিযানে আমিরাতের বৈজ্ঞানিক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির নারী বিজ্ঞানী সারাহ আল আমিরি। মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণের পর উচ্ছ্বসিত সারাহ বলেন, ১৯৬৯ সালের জুলাইয়ে অ্যাপোলো-১১ অভিযানে চন্দ্রজয়ের যে প্রভাব আমেরিকার ওপর পড়েছিল, হোপ অভিযান সফল হলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপরও অনেকটা একই রকম প্রভাব পড়বে।