এক হাজার টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিরাপত্তা সুতা পরিবর্তন করে এই নোট বাজারে ছাড়া হয়। এর মাধ্যমে নোটটি জাল করা সম্ভব হবে না।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে নতুন এ টাকা ইস্যু করা হয়েছে। পরবর্তীতে ব্যাংকের অন্যান্য শাখা অফিস থেকেও তা ইস্যু করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন নিরাপত্তা সুতাটি ইতিপূর্বে প্রচলনে থাকা নোটের নিরাপত্তা সুতা অপেক্ষা উন্নততর; যা নোট জালকরণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রচলিত এ নোটটিতে বিদ্যমান ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের রঙ এবং ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে শুধু নোটের সম্মুখভাগে বামপাশের নিরাপত্তা সুতাটি পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন এ নিরাপত্তা সুতাটি ৫ মিলি মিটার প্রশস্ত এবং নোটে নিরাপত্তা সুতার ৪টি অংশ (উইন্ডো) দৃশ্যমান থাকবে। ৫ মিলি মিটার প্রশস্ত নতুন এ নিরাপত্তা সুতায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত রয়েছে; যা কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার দৃশ্যমান অংশে সম্পূর্ণ ও আংশিক এবং কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার ভেতরে অবস্থান করবে।
নতুন নিরাপত্তা সুতাটি নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সহজে উঠানো সম্ভব হবে না, নোটটি কাত করলে নিরাপত্তা সুতার রং সোনালি থেকে হালকা সবুজ এবং গাঢ় সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়, আর উজ্জ্বল রংধনুর রংয়ে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে।
নোটের রঙ, ডিজাইন ও অন্যান্য সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য (জলছাপ, ওভিআই কালিতে লেখা ‘১০০০’, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫টি বিন্দু, মাইক্রোপ্রিন্ট, খসখসে লেখা, লুকানো ছাপা, নোটের পেছনের দিকে ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ ইত্যাদি) অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রচলনে দেয়া নতুন এই নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ১০০০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোট (শহীদ মিনার ও কার্জন হলের ছবি সংবলিত হালকা লাল রংয়ের নোট এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত হালকা বেগুনি রংয়ের নোট) বৈধ ব্যাংক নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে সর্বোচ্চ মূল্যমানের ব্যাংক নোট বিবেচনায় ১০০০ টাকা মূল্যমান নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অধিকতর সুদৃঢ় করা এবং নোট জালকরণ প্রতিরোধ করা। সে লক্ষ্যে রঙ পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক নিরাপত্তা সুতা সংযোজনপূর্বক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত বিদ্যমান ডিজাইন এবং গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত ১৬০ মিমি ও ৭০ মিমি পরিমাপের ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট মুদ্রণ করা হয়েছে।