খবর৭১ঃ কাজের চাপে একটানা মোবাইল আর ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে? অজান্তেই চোখের ক্ষতি করছেন না তো? কীভাবে রক্ষা করবেন চোখকে?
সারাদিন বাড়িতে বসে। কখনও অফিসের কাজ, তো কখনও সময় কাটছে ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখে বা অনলাইন গেমস খেলে। মোট কথা যেটুকু সময় জেগে রয়েছেন, তার শতকরা ৮০ শতাংশ সময়েই সঙ্গ দিচ্ছে মোবাইল, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপটি। ডিজিট্যাল ডিপেন্ডেন্সি তো বাড়ছেই, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চোখের উপর চাপও। একটানা অনেকক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপের আলো চোখের পক্ষে ঠিক নয়।
কিন্তু কাজ না করেও তো উপায় নেই! তাহলে কী করবেন? চোখ ভাল ও সুরক্ষিত রাখতে জরুরি কিছু নিয়ম এবং সহজ কিছু চোখের এক্সারসাইজ়।
- চোখে যদি কোনওরকমের রিফ্র্যাক্টিভ এরর থাকে, তা কারেকশন করে নেওয়া উচিত। চশমার পাওয়ার যদি ঠিক থাকে, তাহলে অসুবিধে নেই। তবে যদি তা না থাকে, চশমার সাহায্যে দেখতে কোনওরকম অসুবিধে হয় বা মাথা ধরার প্রবণতা লক্ষ করেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করুন।
- একটানা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপে কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে চোখকে একটু বিশ্রাম দিন। আধঘণ্টা অন্তর অন্তর এক-দু’মিনিট চোখ বন্ধ রাখুন। অথবা দূরে তাকাতে পারেন। সবসময় কাছে তাকালে চোখের সিলিয়ারি পেশিতে চাপ পড়ে। দূরে তাকালে চোখ রিল্যাক্সড থাকবে। মিনিট খানেকের বিরতি নিয়ে আবার কাজ শুরু করুন।’
আরও পড়ুনঃ বন্যার ঝুঁকিতে ঢাকার ৪০ লাখ মানুষ
- একটানা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা জল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। একে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘ড্রাই আই সিনড্রোম’ বলা হয়। একটানা মোবাইল বা ল্যাপটপের আলোয় চোখ শুষ্ক হয়ে এই সমস্যা হয়। এর থেকে চোখকে রক্ষা করতে মাঝে মাঝে দ্রুত চোখের পলক ফেলুন। ঘন ঘন চোখ খোলাবন্ধ করলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
- তা সত্ত্বেও যদি ড্রাইনেসের সমস্যা হয়, তাহলে লুব্রিকেটিং আইড্রপ বা টিয়ারড্রপ ব্যবহার করতে পারেন, দিনে ৪-৫ বার। বার কয়েক চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিলেও উপকার পাবেন।
- সঠিক পশ্চার মেনটেন করুন। কাত হয়ে বা শুয়ে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। এতেও চোখের উপর চাপ পড়বে।
- যাঁরা কনট্যাক্ট লেন্স পরেন, তাঁরা একটানা ৮ ঘণ্টার বেশি লেন্স পরে থাকবেন না। কিছুক্ষণ খুলে আবার পরতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ সাত জেলায় বন্যার আরও অবনতি
- এখন মোবাইল বা কম্পিউটার সবেতেই প্রোটেক্টিভ স্ক্রিন লেয়ার থাকে। ফলে চোখের ক্ষতির আশঙ্কাও অনেকটাই কম। তবুও অতিরিক্ত ব্রাইটনেসে কখনও কাজ করবেন না। চোখে যাতে না লাগে, অর্থাৎ চোখের কমফর্ট লেভেল অনুযায়ী স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে নিন।
- অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিংয়ের প্রতি নজর দিন। অন্ধকার বা খুব সামান্য আলোয় মোবাইল বা ল্যাপটপ ঘাঁটবেন না। মোবাইল বা ল্যাপটপের আলো ঘরের আলোর সমান রাখুন।
নিয়মিত উপরোক্ত চোখের এক্সারসাইজ় করলে এবং সঠিক আলোয়, সঠিক উজ্জ্বলতায় মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে, চোখের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হবে না।