খবর৭১ঃ করোনা টেস্টের নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিষয়ে যেকোন তথ্য জানাতে ‘হটলাইন’ নম্বর চালু করেছে র্যাব। আজ থেকে সাহেদের যেকোন কু-কর্মের তথ্য ফোনে, ক্ষুদে বার্তা অথবা ইমেইল-এর মাধ্যমে জানানো যাবে।শুক্রবার দুপুরে র্যাবের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসাপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। করোনার দুর্যোগকালীন এই সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও টেস্ট না করে ফলাফল দেয়া, হাসপাতাল পরিচালনার সনদের মেয়াদউত্তীর্ণসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরের দিন হাসপাতালটির দুটি শাখা সিলগালা এবং সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
অভিযানের পর থেকে সাহেদ লাপাত্তা হয়ে যয়। একপর্যায়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে সাতক্ষীরায় যায়। সেখানে থেকে সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন। বুধবার ভোরে ভারতে পালানোর প্রস্তুতির সময় সাহেদকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে উত্তরায় তার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল জাল টাকা জব্দ করা হয়।
সাহেদের মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি তদন্তের দায়িত্ব পেলে ওইদিনই তাকে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের এমডি পারভেজ ১০দিনের রিমান্ডে আছেন।
প্রতারক সাহেদ শুধু করোনা টেস্ট নিয়েই প্রতারণা করেননি তিনি বালু, পাথর, সিমেন্ট সাপ্লাইয়ের নামে অনেকের সঙ্গে প্রতরণা করেছেন। লাখ লাখ টাকা আটকে মানুষকে হয়রারি করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ৫৭টির বেশি মামলা আছে। এছাড়া টঙ্গী, তুরাগ ও উত্তরাতে রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স দিয়ে মাসিক ও এককালীন টাকা আদায় করতেন তিনি।
র্যাব জানিয়েছে, সাহেদের বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ প্রতিনিয়ত আসছে। তার মাধ্যমে আরও যারা প্রতারিত হয়েছেন, তারা যাতে আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারে সেজন্য একটি হটলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। এছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমেও র্যাবকে তথ্য দেয়া যাবে।
র্যাবের ইনভেস্টিগেশন উইং, র্যাব সদরদপ্তর। মোবাইল- ০১৭৭৭-৭২০২১১। এছাড়া ইমেইল- rabhq.invest@gmail.com।