খবর৭১ঃ ফরিদপুরে স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদাহ গ্রামের জোসনা বেগমের (২২) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে তার শরীরের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পুড়ে যায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় জোসনাকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘোড়াদহ গ্রামের স্বামী রাশেদ মোল্যা ও তার বড় ভাই হাসিব মোল্যা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর বড় ভাই নিলু শেখ। আগুনে ওই গৃহবধূর শরীরের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অগ্নিদগ্ধ জোসনা কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদাহ গ্রামের রাশেদ মোল্যার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের খলিল মণ্ডল হাট এলাকার আবদুস ছালাম শেখের মেয়ে।
আরো পড়ুনঃ রিজেন্ট সাহেদ নিজের করোনার ভুয়া রিপোর্ট বানান
গৃহবধূর বড় ভাই নিলু শেখ জানান, দেড় বছর আগে রাশেদ মোল্যার সঙ্গে জোসনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, সোয়া ভরি স্বর্ণ যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার বোনকে অত্যাচার করতে থাকে রাশেদ। মাস ছয়েক আগে এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া লাগলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিটমাট করে দেন। এরপরও বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে রাশেদ এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয় রাশেদ। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জোসনার গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দেয় রাশেদ ও তার ভাই হাসিব মোল্যা।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, জোসনার শরীরের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।