খবর৭১ঃ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানাধীন অভিযোগের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে দুদকের উপপরিচালক মোছা. সেলিনা আখতার মনিকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ জুলাই কমিশন তার ব্যাপারে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে গত রবিবার পুলিশ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে তিনদিনের পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।
দুদক সূত্র জানায়, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহপূর্বক ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে সরকারের মোট ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস হতে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ সংগ্রহ করে। এসব অভিযোগের সমূহ প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রসঙ্গত, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ওভাল গ্রুপ ও জেকেজি হেলথ কেয়ার এর চেয়ারম্যান। এই গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন বর্তমানে তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।