খবর৭১ঃ সম্প্রতি করোনার ভুয়া সনদ নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালি যাওয়ার সংবাদ সত্য নয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টির ব্যাখায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিদেশি নাগরিকদের ইতালি প্রবেশে করোনার সনদ দেখানোর কোনো শর্ত বা বাধ্যবাধকতা ছিল না। ফলে, সনদ নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা সংকটের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ বাংলাদেশি নাগরিক ইতালিতে গেছেন। এদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি করোনার ভুয়া সনদ নিয়ে যাননি। দেশটির করোনা সনদ নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় কিছু বাংলাদেশি নিজে থেকে সনদ নিয়ে গেছেন, যদি দরকার পড়ে যায় এই ভেবে। তবে তারা করোনার ভুয়া টেস্টে বিতর্কে পড়া জেকেজি হেলথ কেয়ার কিংবা রিজেন্ট হাসপাতালে পরীক্ষা করাননি। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এসব তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের করোনার ভুয়া সনদ নিয়ে ইতালি যাওয়ার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটা ঠিক নয়। মূল বিষয়টি হচ্ছে, কিছু বাংলাদেশি ইতালি ফিরে গিয়ে কোয়ারেন্টিন মানেননি। সম্ভবত তাদের থেকে কম্যুনিটির মধ্যে সংক্রমণ হয়েছে।
ইতালির ল্যাজিও শহরে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি থাকেন। সেখানে গত সপ্তাহে ৫ হাজার বাংলাদেশির করোনা টেস্ট করা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৬৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ইতালি সরকার ল্যাজিও অঞ্চলের ৩০ হাজার বাংলাদেশির করোনা টেস্ট করানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশসহ মোট ১৩টি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রেখেছে ইতালি।
সম্প্রতি স্পেন সফরকালে স্পেনের টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতালির প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে একটি বিমান ইতালির রোম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর করোনা টেস্টে ২০ শতাংশ যাত্রীর করোনা পজিটিভ আসে। ইতালিতে করোনা যেন আবার কঠিন ভয়াবহ অবস্থায় না পৌঁছায় সেজন্য বাংলাদেশের বিমান বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর ১২টি দেশের বিমান সেদেশে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের হাসপাতালে ভুয়া করোনার পরীক্ষা নিয়েও দেশটির গণমাধ্যমে লিড নিউজ হয়। বাংলাদেশিদের করোনার ভুয়া সনদ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইতালিসহ বিশ্বে যখন আলোচনা চলছে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি অস্বীকার করে বিবৃতি এল।
এদিকে আজ এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, বিতর্কিত জেকেজি হেলথ কেয়ার ও রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক করোনাভাইরাস শনাক্তের সনদ নিয়ে ইতালি যাননি।