খবর৭১ঃ বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম এই আদেশ দেন।
এদিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত রবিবার ঢাকার সিনিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৮ জুলাই রাতে রাজধানীর কলাবাগানের সোবহানবাগ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদকে গ্রেপ্তার করে সদরঘাট নৌ পুলিশের একটি দল।
আরো পড়ুনঃ ঈদের আগে ও পরে ৯ দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
এদিকে আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সূত্রাপুর এলাকা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের ড্রাইভার শিপন হাওলাদার ও শাকিলকে নৌপুলিশ গ্রেপ্তার করে। এছাড়া এই মামলায় সুপারভাইজার আব্দুস সালাম রিমান্ড শেষে কারাগারে ও মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
লঞ্চডুবির ঘটনায় গত ৩০ জুন সদরঘাট নৌপুলিশের এসআই শামসুল আলম বাদী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধা। এছাড়াও আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় বেপরোয়া লঞ্চ চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৪৩৭ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়।
গত ২৯ জুন সকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে মোট ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়।