খবর৭১ঃ বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত ও মৃত মিছিল থামছেই না। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন অচেনা এই ভাইরাসটিতে। এছাড়া মৃত্যুর সারিও প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি সাড়ে ৩২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬০ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮১ জন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৮ জন। মারা গেছেন ৩৭৩১ জন। আর একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
চীনের উহানে করোনা সংক্রমণ সৃষ্টি হলেও এখন অদৃশ্য এই ভাইরাসটির বেশি প্রকোপ আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। ইউরোপের কিছু দেশেও ফের ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে চীন-জাপানেও। ফলে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, অনেকে দেশে করোনার সংক্রমণের মাত্রা মারাত্মক ঊর্ধ্বমুখী। তাই করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করতে হবে।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪৭ জনের। করোনায় মোট মৃতের দিক থেকেও প্রথমে রয়েছে দেশটি। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৯ জন।
করোনায় আক্রান্তের থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭২ হাজার ৯২১ জনের। আর এ পর্যন্ত ব্রাজিলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লাখ ১৩ হাজার ৫১২ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসা ভারতে মোট ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৪৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৭২৭ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৭২ হাজার ১১২ জন।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৯ জন। আর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৯ জনের।
সংক্রমণ বাড়ছে বাংলাদেশেও। ১৭ নম্বর অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩৯১ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৮ হাজার ৩১৭ জন।