খবর৭১ঃ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার কন্যা জিনজি ম্যান্ডেলা মারা গেছেন।
সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) একজন মুখপাত্র এ খবর দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
নেলসন ম্যান্ডেলার প্রয়াত সাবেক স্ত্রী ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী উইনি মাদিকিজেলা-ম্যান্ডেলা ছিলেন জিনজির মা। ৫৯ বছর বয়সী জিনজি ডেনমার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন। মৃত্যুর সময়টিতেও তিনি ওই দায়িত্বেই ছিলেন।
সোমবার সকালে জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসএবিসি জানিয়েছে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেনি।
এক বিবৃতিতে এএনসির মুখপাত্র পুলে মাবে বলেছেন, ‘অসময়ে তার মৃত্যু হল। আমাদের সমাজ রূপান্তরে এখনও তার অনেক কিছু দেয়ার ছিল এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে বড় ভূমিকা পালনের কথা ছিল।’
জিনজির মৃত্যুর বিষয়ে যথাসময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মাবে।
দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়কমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর বলেছেন, জিনজিকে শুধু আমাদের সংগ্রামী বীরের কন্যা হিসেবে স্মরণ করা হবে না বরং তিনি নিজেও সংগ্রামী বীর হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বিবিসির ভূমানি খিজে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে সেই সময় বেড়ে ওঠেন জিনজি ম্যান্ডেলা। দেশটির ওয়েস্টার্ন কেপের রবেন দ্বীপের একটি কারাগারে প্রায় ১৮ বছর বন্দি ছিলেন ম্যান্ডেলা।
বাবার কারাবন্দি জীবনের সময় ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক হয়রানি ও হুমকি সহ্য করেছিলেন জিনজি ম্যান্ডেলা, তার বোন জিনানি ও মা উইনি মাদিকিজেলা।
১৯৮৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট পিডব্লিউ বোথা নেলসন ম্যান্ডেলাকে শর্তসাপেক্ষে বন্দিদশা থেকে মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সেই সময় নেলসন ম্যান্ডেলা কারাগার থেকে পত্র পাঠিয়ে প্রেসিডেন্ট বোথার মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন। বর্ণবাদবিরোধী জনসমাবেশে বাবার ওই প্রত্যাখ্যানপত্র পাঠ করে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছিলেন জিনজি ম্যান্ডেলা।
নেলসন ম্যান্ডেলার ছয় সন্তানের মধ্যে বর্তমানে মাত্র দু’জন জীবিত আছেন। তারা হলেন জিনজির বোন জেনানি দন্ডামিনি ও ম্যান্ডেলার প্রথম স্ত্রীর সন্তান পুমলা মাকাজিয়ে ম্যান্ডেলা।
জিনজি নেলসন ম্যান্ডেলার ষষ্ঠ সন্তান ও উইনি ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন বলে জানিয়েছে