খবর৭১ঃ চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার কমিশনের সভায় সংস্থাটির বিশেষ তদন্ত অণুবিভাগকে এই অভিযোগের অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদকের পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইতিমধ্যে অনুরূপ অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধেও দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে রয়েছেন।
জানা গেছে, করোনার ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ সাবরিনার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহপূর্বক ১৫,৪৬০ টি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করেছেন তিনি।
এর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন্ উৎস থেকে সাবরিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সংগ্রহ করে। এসব তথ্য-উপাত্ত সংবলিত অভিযোগসমূহ কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল কমিশনে উপস্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণার ঘটনায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ গ্রেফতার করে পুলিশ। করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনার স্বামী আরিফ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।