মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা খেল তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শহিদুল ইসলাম (৪৫)। আজ শনিবার ভোরে সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মুশরত ধুলিয়া পলিপাড়ার বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
থানা পুলিশ জানায়, গত ২০০৫ সালে সৈয়দপুর থানায় একটি চুরির মামলা হয় শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সেসময় তাকে গ্রেফতারসহ তাঁর কাছ থেকে বেশকিছু চুরির মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সে সময় কিছুদিন হাজতবাস করার পর জামিনে মুক্তি পায় সে।
এরপরে মামলা চলা অবস্থায় আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক থাকে। আদালতের বিচারক সম্প্রতি তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ সম্পন্ন করেন। এতে তাঁর তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেন। একইসাথে তার সাজা কার্যকর করতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাটি থানায় এলে পুলিশ তাঁকে ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু সে একেক সময় একেক স্থান পরিবর্তন করায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে হিমশিম খায়।
কিন্তু নাছোর বান্দা পুলিশ পলাতক আসামিকে ধরতে তৎপরতা অব্যাহত রাখে। নিয়োগ করা হয় সোর্স। এরইমধ্যে গতকাল রাতে সোর্সের দেয়া সংবাদে জানতে পুলিশ জানতে পারে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শহিদুল তাঁর গ্রামের বাড়িতে এসে আত্নগোপন করে আছেন। এমন সংবাদে সৈয়দপুর থানার এসআই মো. সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই ইন্দ্রমোহন রায় এসআই লক্ষী নারায়ন চন্দ্র ও এএসআই আখতারুজ্জামান পলাশসহ সঙ্গীয় ফোর্স আজ শনিবার ভোরে খাতামধুপুর ইউনিয়নে মুশরত ধুলিয়া পলিপাড়ায় আসামির বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় ওই বাড়ির একটি রুম থেকে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত সুলতান আলীর পুত্র। থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো.আতাউর রহমান তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।