খবর৭১ঃ প্রায় ছয় হাজার বছর পর যুক্তরাজ্যে আবার বন্য বাইসন ফিরছে। কেন্টে বিলুপ্তপ্রায় এ প্রাণীর ছোট্ট একটি পাল অবমুক্ত করা হবে ২০২২ সালের বসন্তে। বিলুপ্তপ্রায় এ প্রজাতিকে রক্ষায় ১০ লাখ পাউন্ডের প্রকল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে প্রাকৃতিক উপায়ে পাইনবন সৃষ্টি করা হবে। এতে মিশ্র বনাঞ্চল সৃষ্টির মাধ্যমে পাখি ও বন্য প্রাণীর জন্য পরিবেশ তৈরি করা হবে।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে একটি পুরুষ ও তিনটি মাদি বাইসন উন্মুক্ত করার পর তাদের প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে পাল বাড়ানো হবে। সাধারণত প্রতিবছর একবার একটি বাচ্চা দেয় বাইসন। নেদারল্যান্ডস বা পোল্যান্ড থেকে এ বাইসন আনা হবে। এ দুটি দেশে ইতিমধ্যে বাইসন বন্য পরিবেশে ছাড়ার পর তা টিকে আছে।
১৯৭০ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বন্য প্রাণীর সংখ্যা গড়ে ৬০ শতাংশ কমেছে। সংরক্ষণের নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রকৃতি ধ্বংসের হিসাবে বিশ্বের শীর্ষ দেশ যুক্তরাজ্য।
কেন্ট ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্টের পরিচালক পল হাডাওয়ে বলেন, ‘আমরা এখন যে সমস্যায় আছি, তাতে দ্য ওয়াল্ডার ব্লিন প্রকল্পের মাধ্যমে বন্য ও প্রাকৃতিক উপায়ে জলবায়ু ও প্রকৃতি রক্ষা একটি সমাধান হতে পারে। বাইসনের মতো প্রজাতি রক্ষার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছি। বাইসন সাধারণত গাছের বাকল খায় ও গাছের গায়ে লোম ঘষে। এতে গাছ মরে গিয়ে তা পোকামাকড়ের ঘরবসতি হয়। তা পাখিসহ নানা প্রাণীর জন্য দারুণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এটিতে বাস্তুতন্ত্র সৃষ্টি হয়।’
ছয় হাজার বছর আগে যুক্তরাজ্যে বাইসনের অস্তিত্ব ছিল। পরে শিকার ও আবাসস্থলের পরিবর্তনের কারণে বাইসন বিলুপ্তির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ইউরোপিয়ান বাইসন সেই বাইসনের নিকটাত্মীয়।