খবর৭১ঃ
রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আইন অমান্য করে ৪০টি বিষধর সাপ অবমুক্ত করার ঘটনায় উপজেলা বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ইনামুল হোসাইন সুমন এর পক্ষ থেকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন শাওন এ উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশ সুত্রে জানা যায়, ৭ জুলাই (মঙ্গলবার) ২০২০ ইং তারিখে দৈনিক নবচিত্র, দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকা, নয়াদিগন্ত, গ্রামের কাগজসহ বিভিন্ন অনলাইন ও সোস্যাল মিডিয়া মারফত জানতে পারে শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের বড় মৌকুড়ী গ্রামের মেহগনি বাগানে শৈলকুপা উপজেলা বন কর্মকর্তার নির্দেশে বন বিভাগে এমএলএসএস আইয়ুব হোসেন ৪০টি বিষধর গোখরা সাপ অবমুক্ত করে। লোকালয়ে এই বিষধর সাপগুলো অবমুক্তি করার ফলে জনমনে এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মহিলা ও শিশুরা তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছে না। এলাকাবাসী আজ আতঙ্কিত । উল্লেখ্য, যে বিগত এক বছওে এই উপজেলায় দুই সহোদর সহ প্রায় ২০ জন ব্যক্তি বিষাক্ত সাপের ছোবলে মৃত্যুবরণ করে। এমতাবস্থায় ৪০টি বিষধর সাপ লোকালয়ে অবমুক্ত একটি অবিবেচক ও অমার্জনীয় আইন বর্হিভুত কাজ বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও ৪০টি বিষধর সাপ স্থানীয় প্রশাসনের তত্বাবধানে জঙ্গলে আইনানুগ আকারে অবমুক্ত করে আইনজীবিকে সন্তোষজনক জবাব প্রদান না করিলে উনার বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়েরের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। নোটিশের বাদী আবদুল্লাহ আল মামুন শাওন জানান, গত বছর শৈলকুপায় একেরপর এক সাপের ছোবলে মানুষ মৃত্যুর ঘটনায় জননেতা আব্দুল হাই এমপির নির্দেশনায় শৈলকুপা হাসপাতালে এন্টিভেনম সরবরাহ করা হয়।
জীবন বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর বিপরীতে গ্রামাঞ্চলে বিষধর সাপ ছাড়া কতটা যৌক্তিক? একারণেই তিনি আইনজীবির পক্ষে বাদী হয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, যথাসময়ে উকিল নোটিশের জবাব দেওয়া হবে।