খবর৭১ঃ
মোঃ রাসেল মিয়া, (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ ‘পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও’ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে চলছে পলিথিনের ব্যবসা ও ব্যবহার। পলিথিন অপচনশীল হওয়ায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে পানিষ্কাশনের নালা-নর্দমা। যার ফলে প্রতিটি এলাকায় তৈরি হচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
অপরদিকে উপজেলার প্রতিটি বাজারই এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন প্রশাসনের নজরদারি কম থাকায় প্রকাশ্যেই বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন। এদিকে উৎপাদন, বিপনন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকা সত্তেও পলিথিন মিলছে সবার হাতের কাছেই। যা খুবই চিন্তার বিষয় বলে মনে করেন সুশিল সমাজের লোকজন। নিত্যদিনের বাজার সদাই মানেই পলিথিনের ব্যবহার। নিষিদ্ধ এই পলিথিনের কারণে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা। উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তুপ দেখলেই অনুমান করা যায় কি পরিমান পলিথিন ব্যবহার করা হয় এই বাজারে। আর কি পরিমান নিষিদ্ধ এই পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে পুরো উপজেলায়। উপজেলার প্রতিটি বড় বাজারে রয়েছে পলিথিনের খুচরা ব্যবসায়ী।
যাদের মাধ্যমে খুব সহজেই ছোটসব বাজার ও প্রতিটি দোকানে পৌছে যায় এ পলিথিন। একটি ডিম থেকে শুরু করে দু’হাজার টাকার বাজার পযর্ন্ত এখন পলিথিনে দেওয়া হয়। একাধীক ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এই ব্যবসায় লাভ ভালো। আর পলিথিন পচেনা, গলেনা, খারাপ পড়লে কোম্পানি ফেরত নেয়। যা অন্য কোন ব্যবসায় সম্ভব নয়। খুচরা বিক্রি করলে কেজি প্রতি ১শত টাকা লাভ হয়। আর পাইকারি বিক্রি করল হয় কেজি প্রতি ২০ টাকা। এইসব পলিথিন পুরান ঢাকার ইসলামবাগ, যাত্রাবাড়ি, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে গভীর রাতে আনা হয়। সেখান থেকে কোম্পানীগঞ্জ হয়ে উপজেলার প্রতিটি ছোট বড় বাজারে যায়। উপজেলা কৃষি অফিসার মাইনউদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ বলেন, পলিথিন কৃষিজমির জন্যও হুমকি স্বরুপ। এটি অপচনশীল হওয়ায় যেখানে পড়ে সেখানে সূর্যের রশ্মি পড়েনা। আর সূর্যের রশ্মি না পড়লে ফসলাদি হয় না।
পলিথিনের ব্যবহার রোধ করে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাড়াতে পারলে কৃষিতে আবারও সোঁনালী আশখ্যাত পাটের সুদিন ফিরে আসবে। এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, আমরা বড় বড় চাল দোকানে পূর্বে প্লাষ্টিকের ব্যবহার বন্ধের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। নিদিষ্ট করে পলিথিনের জন্য করা হয়নি। পলিথিন নিষিদ্ধ, এটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে পলিথিনের উপর অভিযান পরিচালনা করা হবে।