খবর৭১ঃ
মোঃ রাসেল (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার হোমনায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সালেহা বেগম (৭০) ও করোনা উপসর্গ নিয়ে হরে কৃষ্ণ শীল (৬০) নামে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সালেহা বেগম উপজেলার ছোট ঘারমোড়ার হাজ্বী আবদুল মান্নান মিয়ার স্ত্রী ও হরে কৃষ্ণ শীল একই উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নিবারণ শীলের পুত্র।
উভয় পরিবার সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত সালেহা বেগম ৭জুলাই মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গ্রামের বাড়িতে মৃতের লাশ নিয়ে এলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান টিপুর সহায়তায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট একদল সেচ্ছাসেবক উপজেলা দাফন-কাফন কমিটির স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেলে ওই নারীর জানাজা ও দাফন-কাফনের কাজ সম্পন্ন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওমর ফারুক শান্ত, মো. সাজু পল্টু প্রমূখ। এদিকে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পরলোক গমন করা হরে কৃষ্ণ শীলকে সনাতন ধর্মীয় রীতিতে সৎকার করা হয়। পৌর আ’লীগের প্রচার সম্পাদক রাজু পোদ্দারের সম্পূর্ণ অর্থায়নে ও নিজস্ব নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি সৎকার কমিটি সবদেহের সৎকার সম্পন্ন করেন। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান টিপু জানান, সালেহা বেগমের মৃত্যুর খবরটি প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মোল্লার মাধ্যমে জানতে পারি। পরে ইউএনও তাপ্তি চাকমার নিকট থেকে পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় রীতিতে জানাজা ও দাফন কাফন সম্পন্ন করি।
রাজু পোদ্দার জানান, মানুষ মানুষের জন্য। দুর্যোগে-দুর্ভোগে আমরাই মানুষের সেবা দিতে হবে। এটাই পরম ধর্ম। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিকে সৎকার করেছি। এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুছ ছালাম সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, সালেহা বেগম দীর্ঘদিন হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ২২ জুন তার জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৪ জুন তার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে করানো হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টায় কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তিনি মৃত্যু বরণ করেন।