খবর৭১ঃ এবারের কোরবানির ঈদ ১ আগস্ট হলে সরকারের ব্যয় বাড়বে ১৩০-১৪০ কোটি টাকা।চাকরিজীবীদের নতুন বেসিক অনুযায়ী বেতন-বোনাস-পেনশন পরিশোধে সরকারকে এই অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে।
আর ৩১ জুলাই ঈদ হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আর এই অতিরিক্ত টাকা আর গুনতে হবে না। হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়-সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তবে, ঈদ ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট হোক—নতুন বেসিক অনুযায়ী বেতন-বোনাস-পেনশন সুবিধা চেয়ে গত ৬ জুলাই (সোমবার) অর্থ বিভাগের সচিবের কাছে আবেদন করেছে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’।
আবেদনে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী যে মাসে ঈদ, তার আগের মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি চাকরিজীবীরা উৎসবভাতা হিসেবে পাবেন। যারা পেনশন পাচ্ছেন, তাদের উৎসব ভাতাও আগের মাসের পেনশনের সমান হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি ছুটির তালিকা বলছে, কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ১ আগস্ট। সেই অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের উৎসবভাতা জুলাই মাসের মূল বেতন-পেনশন অনুসারে দেওয়াই উচিত। তবে, চাঁদ দেখার কারণে ঈদের তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে গেলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন বেসিক অনুযায়ী উৎসব ভাতা দেওয়ারও দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের ১ জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কার্যকর করা হয়। ১ আগস্ট ঈদ হলে বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি টাকা পাবেন তারা। এরপরও কোন তারিখ ঈদ ধরে বোনাস দেওয়া হবে, তা নির্ধারণে জটিলতায় পড়েছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ও।
এ বিষয়ে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এবারের কোরবানির ঈদ ১ আগস্ট হওয়া হলে কিছুটা সমস্যা হবে। কারণ ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-বোনাস-পেনশন নতুন বেসিক অনুযায়ী কার্যকর হবে। ঈদ কোনো কারণে একদিন আগে হলে সে সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হবেন। অবশ্যই, সরকার চাইলে নতুন বেসিক অনুযায়ী দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।