খবর৭১ঃ সকালে ভিসি স্যার ডেকেছিলেন আমার ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের নিয়ে একটা মতবিনিময় সভায়। তারপর ডিপার্টমেন্টে অনেকটা সময় কাটালাম। ডাক্তার-নার্স-স্টাফদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদির ব্যবস্থা করা, ওয়ার্ডে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো আর আউটডোরে গ্লাস ব্যারিয়ারের জোগাড় করা, এসব করতে করতে দুপুর পার।
আজ দুটি ট্রেস হওয়ার কথা ছিল ল্যাবএইডে। রোগীদের কভিড রিপোর্ট না আসায় আপাতত স্থগিত করতে হলো। আমার একসময়ের ছাত্র আর এখন সহকর্মী ডা. ফয়েজ আর ডা. ডিউকে নিজের চেম্বার দেখাতে নিয়ে গেলাম। কভিড ঠেকানোর জন্য বিস্তারিত আয়োজন করেছি চেম্বারে। গ্লাস কেটে বসানো হয়েছে দুটি জানালা। সেন্ট্রাল এসি বন্ধ। চালু হয়েছে প্যাডেস্টাল ফ্যান। চেম্বারে ঢোকার মুখে রোগী এবং রোগীর একমাত্র অ্যাটেনডেন্টকে পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফ্রি সার্জিক্যাল মাস্ক। সঙ্গে আছে জুতা, ডিজইনফেকশনের ট্রে আর হ্যান্ড স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থাও। রুমে বারকয়েক ছিটানো হয় ব্লিচিং পাউডারের সলিউশন, জ্বালানো হয় ইউভি ল্যাম্প।
আমার প্রায় ১০০ স্কয়ার ফিটের চেম্বারে এখন একজন অ্যাটেনডেন্টসহ সর্বোচ্চ দুজন রোগী ঢোকার অনুমতি পায়। চেম্বার কমিয়ে করেছি সপ্তাহে তিন দিন আর এক দিন শুধু প্রসিডিউরের জন্য বরাদ্দ। তা-ও প্রপার পিপিই, ফেস শিল্ড, গগলস, গ্লাভস আর এন-৯৫ মাস্ক পরে। একই ব্যবস্থা আমার অ্যানেসথেসিস্ট আর এন্ডোস্কোপি অ্যাসিসট্যান্টদের জন্যও। রুটিন এন্ডোস্কোপি আপাতত বন্ধ। শুধু থেরাপিউটিক কাজগুলোই করছি। ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট ডা. ডিউ আর ডা. ফয়েজ। টুকটাক দু-একটা সাজেশন দিলেন। মনে মনে বেশ পুলকিত আমিও। আমাকে আর কভিডে পায় কিভাবে? বাসায় ফিরে আবার বিস্তারিত প্রটোকল। জুতা-মোবাইল ডিসইনফেক্ট করে, কাপড়চোপড় ছেড়ে, গোসল করে কম্পিউটারে বসলাম। রাতে আবার বঙ্গবন্ধু থেকে কানেকটেড হতে হবে আরটিভিতে। তারপর আছে বাংলা ভিশন। হঠাত্ই সন্ধ্যা ৭টার দিকে ল্যাবএইডের ফোন। এত কিছু করেও পারলাম না। রিপোর্ট আমার পজিটিভই এসেছে। গতকাল দুপুরেই ল্যাবএইডে পরীক্ষা করিয়েছিলাম। বাসা থেকে বেরিয়ে প্রথমেই গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুরে আল-মারকাজুল ইসলামের অফিসে। জানি শেষ দেখার সুযোগ নেই। কভিড সেই সুযোগটুকুও কেড়ে নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে। তার পরও গিয়েছিলাম। মোহাম্মদ নাসিম কেন যেন আমাকে আর দশজনের চেয়ে একটু বেশিই আদর করতেন। জয় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো, কী বলব বুঝতে পারছিলাম না।
এটাসেটা বলে দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম। সেখান থেকে সোজা চেম্বার আর তারপর পরীক্ষা। আগে থেকেই বলা ছিল, কাজেই পরীক্ষা করাতে কোনো ঝামেলা হয়নি। ল্যাবএইড থেকে ফোনটা পেয়ে ধাক্কা খেয়েছিলাম, তবে অবাক হইনি। জানা ছিল এ রকম একটা ফোন কোনো একদিন আসবেই। ডাক্তারি করব আর কভিডকে বারবার ফাঁকি দেব—এতটা ভালো কপাল সম্ভবত হবে না। বিশেষ করে স্বাস্থ্যের কর্মকর্তাদের কর্মগুণে দেশের হাসপালগুলোয় যে হ-য-ব-র-ল অবস্থা! বাসার একতলায় খাবার ঘরটাকে শুরু থেকেই আইসোলেশনের জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছিল। ডাইনিং টেবিলের জায়গায় পাতা হয়েছে খাট। ঘরটাকে বাসার সবাই বলে ‘করোনারুম’। তবে ঘরের ভেতরে যে অপ্রয়োজনীয় জিনিস একেবারেই নেই তা-ও নয়। নুজহাতের নেতৃত্বে সেসব সরানো-গোছানো শেষ হতে সময় বেশি লাগল না। ঘরের ভেতরে চা, বই, ল্যাপটপ, গরম পানির ফ্লাস্ক, মেনথল আর প্রয়োজনীয় ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। এখন আমি ফিট ফর আইসোলেশন!
মাঝেমধ্যেই অবশ্য প্রচণ্ড অস্থিরতা হচ্ছে, মাঝেমধ্যে আবার সব স্বাভাবিক। হঠাত্ করেই খুব অসহায় মনে হচ্ছে নিজেকে। বুকের ভেতর থেকে একটা চাপা অস্থিরতায় বুকটা ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইছে। খুব ভালোই বুঝতে পারছি এই পৃথিবী আর চারপাশের সুন্দর সব কিছু ছেড়ে ভেন্টিলেটরে চড়ার মানসিক প্রস্তুতি আমার একেবারেই নেই। ‘করোনারুম’ রেডি, ‘করোনা মন’ নয়। আমার নিজের এবং নুজহাতের, দুই পরিবারের গুরুজনের দায়িত্ব এখন আমাদের কাঁধে। আর আমরা যাঁকে গুরুজন মানি তাঁকে এসব মামুলি বিষয়ে বিরক্ত করি না একেবারেই। হঠাত্ কি মনে করে টেক্সট পাঠিয়েছিলাম, উত্তরও এসেছে। শক্তি হারাতে মানা করেছেন, বলেছেন শক্ত হতে, বলেছেন দোয়া করছেন। হঠাত্ অনেক শক্তি পাচ্ছি। এখন ঘুমাব।
১৫–৬–২০২০ সোমবার, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট
মাত্র ঘুমটা ভাঙল। করোনাপূর্ব দিনগুলোতে ভোর ৪টায় ঘুমিয়ে অবলীলায় সকাল ৭টায় উঠে হাসপাতালে ছুটেছি। এখন দিন-রাতের হিসাব বদলে গেছে। গত প্রায় দশক ধরে যে অত্যাচার শরীরের ওপর করেছি, তা পুষিয়ে নেওয়ার যে অপ্রত্যাশিত সুযোগটা কভিডের কারণে হঠাত্ পাওয়া, তা কড়ায়গণ্ডায় উসুল করে চলেছি বেশ কিছুদিন ধরেই। সকাল সকাল ঘুম ভাঙার আশা ইদানীং তা-ই দুরাশা। তার ওপর গত রাতে যে ইমোশনাল রোলার-কোস্টার রাইডটা গেল! ঘুম ভাঙল হৈচৈয়ে। জানালার পর্দা সরাতেই চোখে পড়ল ল্যাবএইডের অ্যাম্বুল্যান্সটা। এ বাসায় সর্বশেষ এ রকমই একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসেছিল ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিসিইউ থেকে নিস্তব্ধ আব্বাকে নিয়ে। এবারের প্রেক্ষাপটটা অবশ্য ভিন্ন। এবার অ্যাম্বুল্যান্সে চড়ে এসেছেন আলমগীর ও সুজিত চাকমা। দুজনই ল্যাবএইডের টেকনিশিয়ান। অত্যন্ত করিতকর্মা এই আলমগীর। উচিত ছিল আরো বড় কিছু হওয়া, অন্তত ম্যানেজার বা আরো ভালো কিছু। বিধাতার বিমুখতায় আপাতত টেকনিশিয়ান। বিচিত্র রঙের পিপিই পরে প্রস্তুত দুজনই। যমদূতসদৃশ বেশে তাঁদের আজকের আগমনের কারণ অবশ্য বেশ মহত্। আমার পরিবারের সদস্যসহ বাসার অন্য বাসিন্দাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা কভিড আর কারো ঘাড়ে সওয়ার হলো কি না। নুজহাত দৌড়ঝাঁপ করে সব আয়োজন করছে। উপস্থিত হেলালও। সেই কবে থেকেই আমার সব ভালোমন্দের ছায়াসঙ্গী। ১৯৯০-এর আগে-পরের সময়টায় মফস্বলের একটি অশান্ত ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির যত সিদ্ধনিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে আমার এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ সহচর। ডাক্তারি পড়েনি ঠিকই কিন্তু আমাদের জামানায় আমাদের টানে অনেকটা সময়ই কাটিয়েছে ময়মনসিংহে। এতটাই যে এখনো অনেকের ধারণা ও হেলাল ডাক্তার। সেই থেকে চলার শুরু। তারপর পোস্টগ্র্যাজুয়েশন-ন্যাসভ্যাক-নির্মূল কমিটি-সম্প্রীতি বাংলাদেশে কোথায় নেই? আয়োজনও ব্যাপক। একে একে কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে পোর্চের নিচে টুলে এসে বসছে একেকজন। পরিবারের সদস্য, হোম-এইড, ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড—একে একে সবাই। কভিড সাম্যে বিশ্বাসী, ধনী-গরিবে ভেদাভেদ রাখেনি। সবারই দুরুদুরু বক্ষ। যদিও মুখ দেখে বোঝার খুব একটা উপায় নেই বুকের ভেতর কী ঘটছে।
সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সম্ভবত কেউ দরজায় নক করেছিল। হয়তো বা নুজহাত কিংবা সুকন্যা-সূর্য। চোখ খুলতেই আমার করোনারুমের জানালা দিয়ে গেটের আলোটা চোখে পড়ল। আলো জ্বলছে, চলছে হূত্স্পন্দন। আসরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ভাঙল মাগরিবে। কদিন আগে কিট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় কিভাবে যেন জড়িয়ে পড়েছিলাম। নিজে যতটুকু বুঝি আর আমার চেয়ে যাঁরা আরো ভালো বোঝেন তাঁদের কাছ থেকে আরেকটু বুঝে নিয়ে এবং পাশাপাশি এদিক-সেদিক থেকে আরো কিছু ধারণা জোগাড় করে কেন যেন বাঙালির কল্যাণে খানিকটা ‘জ্ঞান বিতরণে’র চেষ্টা করেছিলাম। মনে বোধ হয় একটা সুপ্ত আশা ছিল লোকে লুফে নেবে, খানিকটা তালিটালিও পাওয়া যাবে। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহটা ঠিক সে রকমের ছিল না। গালাগাল দিয়েছেন অনেকেই। জনৈক ভদ্রলোক ফেসবুকে কমেন্ট করে প্রার্থনা করেছেন আমি যেন সপরিবারে কভিডে মৃত্যুবরণ করি। একেবারে যাকে বলে কলিজায় গিয়ে খোঁচা দিয়েছিল ভদ্রলোকের প্রার্থনাটা। এটাসেটা, এই প্রাণীর শাবক আর সেই পশুর নাতি, শুনতে শুনতে এসব মেনে নেওয়াটা এখন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। তাই বলে এতটা! গত রাতে কভিড পজেটিভ রিপোর্টটা হাতে পাওয়ার পর থেকে ভদ্রলোকের কথা মনে পড়েছে মাঝেমধ্যেই। আর এখন ঘুম থেকে উঠে খুব বেশি। কভিডের কাছে হেরে যাওয়া চলবে না। আমার মৃত্যু তা সে যখনই আসুক, কারো কারো কাছে যে তা উল্লাসের বিষয় হবে, সেটা আমি অনেক আগেই মেনে নিয়েছি। কিন্তু তাই বলে আমার মৃত্যুতে কেউ খুঁজে পাবেন তাঁর খোঁড়া যুক্তি খাড়া করার অজুহাত, সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। এমন মৃত্যুকে আমি পরাজিত করবই।
রাত ৮টা ৩০ মিনিট
মাত্রই মামুনের ফোনটা রাখলাম। কাল থেকে বেচারা হন্যে হয়ে খুঁজছে। আমার বাসার একতলায় গ্রামীণের সিগন্যাল জটিলতাটা আমি করোনাকালে বাসায় স্বেচ্ছাবন্দিত্বের সময়টাতে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। মাঝেমধ্যে যে কাজের ঝামেলা হয়নি তা নয়, কিন্তু এখন এই আইসোলেশন কক্ষটিতে অত্যাচারের মাত্রাটা যে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে যাচ্ছে সেটা ভালোই বুঝতে পারছি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সদ্য নিযুক্ত ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. মামুন। দীর্ঘদিন একই হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ছিলেন।
সম্প্রতি তাঁর চেয়ারটা আরেকটু উঁচু হয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বাংলাদেশে এই প্রথম। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কভিড, নন-কভিড রোগীদের চিকিত্সার কাজ চলছে ডাক্তারদের নেতৃত্বেই। অথচ নিজেদের চিকিত্সার প্রয়োজনে তাঁদেরই ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা। বঙ্গবন্ধুর অধ্যাপককে কখনো ঢাকা সিএমএইচ তো, কখনো ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভিসি মহোদয়ের যে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে তার বর্ণনা শুনে এলাম খোদ তাঁর মুখ থেকেই গতকাল দুপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে।
সেদিক থেকে ব্যতিক্রম শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। তাঁর সঙ্গে আমার সখ্য সেই ১৯৮৮ সাল থেকে, যখন এই মফস্বলটিতে এমবিবিএস ডিগ্রির আশায় পা রেখেছিলাম তার পরপরই। তখন তিনি ছিলেন উত্তম দা, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া নন। কালের বিবর্তনে বিবর্তিত হয়েছে অনেক কিছুই। দাদা অধ্যাপক হয়েছেন, হয়েছি আমিও। ক্রমসম্প্রসারণশীল দৈহিক অবকাঠামো নিয়ে চাপা একটা প্রতিযোগিতাও আছে আমাদের মধ্যে। বিবর্তিত হয়নি শুধু মুজিবভক্তি, আওয়ামী আসক্তি আর আপার প্রতি একাগ্রতা। ফুসফুসের সিটি স্ক্যান বলছে দাদার ২০ শতাংশ উধাও।
মানুষ এখনো জানে না তেমনভাবে। আমিও জানাইনি। দাদা নিজে হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হয়ে চিকিত্সা নিচ্ছেন আর ফাইল সই করছেন, ফেসবুকের কল্যাণে সেসব ছবিতে অনেকেরই স্বস্তি। দাদার ফুসফুসের গোমর তাই ফাঁস না হলেই ভালো। এসব ভাবতে ভাবতেই মনে হলো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বড়কর্তা সেনা হাসপাতালে চিকিত্সা নিলে তা কিন্তু খবর হয় না। সংবাদমাধ্যমের কোনো বন্ধু জানতেও চান না, যিনি হাজারো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা, তাঁর চিকিত্সকদের চিকিত্সার জন্য দূরে থাক, নিজের চিকিত্সায় বিছানা কেন জোটে না তাঁর নিজের কোনো হাসপাতালে? স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্রটিতে মৃত্যু হলে খবর হওয়া সহজ, কিন্তু যাঁরা স্বাস্থ্যসেবা দেন তাঁরা মারা গেলে খবর হন না।
চিকিত্সা না পেয়ে রোগীর মৃত্যুবরণ অপরাধ। কিন্তু যাঁর অবিমৃশ্যকারিতায় দেশের হাজারো চিকিত্সকের মাথার ওপর সম্ভাব্য হুলিয়া তাঁর মুখ ঢাকা থাকে এন-৯৫-এ। আমি বড়কর্তা না হলেও আমার কপাল আরো অনেক সহকর্মীর চেয়ে ভালো বলেই মনে হচ্ছে। মামুন জানিয়েছে প্রয়োজনে দাদার পাশেই একটি কেবিনে জায়গা হবে আমারও।
রাত ৯টা ৩০ মিনিট
মাত্রই ল্যাবএইডের ফোন। করিতকর্মা আলমগীর জানাচ্ছে আমি একা নই। আপাতত নুজহাত আর সুর্য যোগ দিচ্ছে আমার খাঁচায়। আর আছে আমার সেক্রেটারি লেমন। সুকন্যা ফাঁকি দিয়ে দিয়েছে কভিডকে। বাকিদের রিপোর্ট আসতে আরো ঘণ্টাখানেক।