খবর৭১ঃ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে ভারত সংলগ্ন সীমান্তে গত দুই দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যদের গুলিতে রাজু মিয়া (১৮) নামের একজন নিহত ও মোহাম্মদ সোহেল (২৫) নামের অপর আরেক গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাবরী সীমান্তে নিহতের এবং গতকাল সোমবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু মিঞা হরিপুর উপজেলার বকুয়া তোলাদিঘি গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং আহত গরু ব্যাবসায়ী সোহেল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বারাসাত এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। ঠাকুরগাঁও সীমান্ত সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন-৫০ বিজিবির অধীন হরিপুর উপজেলার ডাবরী বিওপির এবং ১৪৬ বিএসএফ ফুলবাড়ী ক্যাম্পের মেইন পিলার ৩৬৮/৪ এস হতে আনুমানিক ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেরুয়াডাঙ্গী নামক স্থানে রাজু মিয়ার মৃতদেহটি নাগর নদীতে ভেসে উঠে। স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে হরিপুর থানা ও ডাবরী বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। হরিপুর থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। রাজু মিঞা গত ৬ মাস পূর্বে ভারতে কাজের জন্য গিয়েছিল এবং মঙ্গলবার রাতে ভারত হতে পালিয়ে আসার সময় নাগর নদীতে তার মৃত্যু হয়।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে লাশের গায়ে কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন পাইনি। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। অপরদিকে, গতকাল সোমবার ভোরে গরু ব্যাবসায়ী সোহেল সহ প্রায় আরো কয়েকজন অবৈধ ভাবে রত্নাই সীমান্তের তারকাটা অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে সীমান্তের ৩৮২/এস পিলার এলাকায় প্রবেশ করলে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর গোয়ালপুকুর নাটুয়াটুলি ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। পরে তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গ্রামবাসি তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন তবে আহত ব্যাক্তির সন্ধান তিনি পাননি। এছাড়া সীমান্তে গুলি ও হত্যা বন্ধের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে একটি পত্র দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।