খবর৭১ঃ আসন্ন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে উপনির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানায় দলটি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই কমিশনের কাছে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কমিশন নির্বাচন না পেছালে আমরা এতে অংশগ্রহণ করব না।
এক প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, নির্বাচন না পেছালে ব্যালট পেপারে আমাদের প্রার্থীর প্রতীক না রাখার জন্যও ইসি সচিবকে বলেছি।
ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে সিইসি বরাবর লেখা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীগের এক চিঠিও হস্তান্তর করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ওই চিঠিতে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আগামী ১৪ জুলাই জাতীয় সংসদের বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু আপনি অবহিত আছেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের দুটি আসনে আগামী ১৪ জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত। আমরা নির্বাচন কমিশনের উল্লিখিত উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।
বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ও চরম হুমকি স্বরূপ। সে কারণে জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা এ দুটি উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই জনস্বার্থ বিবেচনায় কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এর আগে গত রবিবার (৫ জুলাই) বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সন্ধ্যায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর-৪ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, যখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় ভোট গ্রহণযোগ্য নয়।’