খবর৭১ঃ করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জনগণকে স্বল্প পরিসরে বিচার দিতে চালু করা হয়েছে ভার্চুয়াল কোর্ট। দেশের উচ্চ ও নিম্ন আদালতে চালু হওয়া এই কোর্টগুলোতে শুরু থেকে জামিন শুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তীকালে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, কারাগারে থাকা আসামির রিমান্ড আবেদনসহ মামলা সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদন গ্রহণ, শুনানি ও আদেশ দিচ্ছে আদালতগুলো। সেই প্রেক্ষাপটে ৩৫ কার্যদিবসে দেশের অধস্তন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৫০ জন আসামি।
শুক্রবার (৩ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। জামিন প্রাপ্তরা হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, চুরি, মাদকসহ বিভিন্ন প্রকৃতির ফৌজদারি মামলার আসামি।
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চালু হয় ভার্চুয়াল কোর্ট। উচ্চ ও নিম্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণকে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা দিতেই এই আদালত পদ্ধতি চালু হয়। কিন্তু এই ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪০ জন বিচারক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন একজন বিচারক। যিনি জেলা জজ পদমর্যাদার। আক্রান্তের হাত থেকে বাদ যাননি আইনজীবী ও আদালতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সংখ্যা দুই শতাধিক।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ১১ মে থেকে অধস্তন আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েকশত ভার্চুয়াল কোর্ট চালু রয়েছে। এসব কোর্টে আইনজীবীরা ই-মেইলের মাধ্যমে জামিনের দরখাস্ত দাখিল করছেন। ৮ টি বিভাগের জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৩৫ কার্যদিবসে ৯৫ হাজার ৫২৩ টি জামিনের আবেদন দাখিল হয়েছে। দাখিলকৃত এসব আবেদন নিষ্পত্তি করে জামিন দেওয়া হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৫০ জন আসামিকে। জামিনপ্রাপ্তদের অধিকাংশই কারামুক্তি পেয়েছেন। যারা পাননি তাদের মুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার মো: সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে বিচারকরা ১০ হাজার ৮৬৬টি জামিনের দরখাস্ত গ্রহণ করেন। এর মধ্যে জামিন পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৬০ জন। এদিকে একই সময়ে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে জামিন প্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৬০৮ জন। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে ৫৮৩ শিশুকে অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।