শনিবার থেকে লকডাউনে ওয়ারীর ‘রেড জোন’

0
342
শনিবার থেকে লকডাউনে ওয়ারীর 'রেড জোন'

খবর৭১ঃ করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেশি থাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ারী এলাকা আগামীকাল শনিবার থেকে লকডাউন করা হবে ওইদিন ভোর ৬টা থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ২১ দিন এই লকডাউন কার্যকর থাকবে

জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকাসিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) আউটার রোড এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, ্যানকিন রোড এবং নওয়াব রোড এই রেড জোনের আওতায় পড়বে

এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনগুলোও এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে। প্রথমত, এলাকাটির আয়তন বিবেচনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি, দ্বিতীয়ত এলাকাটিতে প্রচুর ব্যবসায়ীদের বসবাস

তবে পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন শুরু হলে রেড জোনে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া মানা। এসব এলাকার ভেতরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ, প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ থাকবে নিয়ন্ত্রিত

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করা যাবে কিংবা করা হবেও। কিন্তু বেশি এত ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকার রাস্তাঘাট জনশূন্য রাখা কঠিন হতে পারে। তবে এর চেয়েও চ্যালেঞ্জিং হবে এলাকার ব্যবসায়ীদের আটকে রাখা। কারণ তাদের কাছে ব্যবসা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সামনে ঈদুল আজহা থাকায় সেই গুরুত্ব আরো বেড়েছে। ঈদের কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাইলে লকডাউন বাস্তবায়ন শঙ্কার মুখে পড়বে

টিপু সুলতান রোডের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা নাবিল আহমেদ বলেন, ওই সময় (মার্চএপ্রিল) তো আসলে যে রকম লকডাউন হয়েছে, সেটা নাকি এবার হবে না। সব কিছু নাকি বন্ধ থাকবে। রাস্তায় নাকি হাঁটাচলাও করা যাবে না। কমিশনারের লোকজন মাইকিং করছেন বার বার। বিষয়টা তো সিরিয়াস মনে হচ্ছে। ঘরের ভেতরে ২১ দিন পরিবার নিয়ে কাটাতে হবে

কলেজ শিক্ষক কানিজ ফাতেমা বলেন, কালকে থেকে লকডাউন শুরু, সবকিছু বন্ধ থাকবে। চাল, ডাল, চিনি, লবণ, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাখতে হচ্ছে

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ মো. ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি রয়েছে। কিছু শঙ্কাও আছে। কারণ পূর্ব রাজাবাজারের তুলনায় এখানে জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এই এলাকার প্রবেশপথও ১৭টি। আমরা দুইটি পথ খোলা রেখে বাকিগুলো সিলগালা করে রাখব। তারপরও এত বেশি জনগণকে ঘরে আটকে রাখতে হলে আমাদের যে জনবল প্রয়োজন, তাতে কিছু ঘাটতি আছে

তবে স্থানীয় কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো বলেন, সব প্রস্তুতি আমাদের শেষ পর্যায়। ভোর থেকে ২১ দিনের কার্য্ক্রম আমরা সুন্দরভাবে শুরু করতে পারব। সিটি মেয়র সব কিছু তদারকি করছেন। টাইমটু টাইম খোঁজখবর নিচ্ছেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here