খবর৭১ঃ
হংকংয়ে নতুন নিরপত্তা আইন অনুমোদনের পর চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই হংকংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। এর আগে মঙ্গলবার চীনের পার্লামেন্ট হংকংয়ের নতুন নিরাপত্তা আইন অনুমোদন হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ সর্বসম্মতিতে হংকংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেয়। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর নিপীড়ন চালানোয় সংশ্লিষ্ট বেইজিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যেসব ব্যাংক লেনদেন করবে তাদেরকে শাস্তি হিসেবে জরিমানার কথা বলা হয়েছে দ্য হংকং অটোনমি অ্যাক্ট নামের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটিতে। এই প্রস্তাবটি সিনেটে পাস হওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে।
হংকংয়ের নতুন নিরাপত্তা আইনটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
তবে স্বায়ত্বশাসিত নগরীটির গণতন্ত্রপন্থিদের অভিযোগ, এই আইনটি হংকংয়ের বাসিন্দাদের বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করতে ব্যবহার করবে চীন। এছাড়া ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় সাবেক শাসক ব্রিটেনকে হংকংয়ের স্বাধীনতা ৫০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিতের যে প্রতিশ্রুতি বেইজিং দিয়েছিল তার সমাপ্তি ঘটাবে আইনটি।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘আইনটি নৃশংস, হংকংয়ের বাসিন্দাদের ওপর নির্বিচারে নিপীড়নমূলক, তাদেরকে যে স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা ধ্বংসের অভিপ্রায়মূলক।’
বুধবার থেকে হংকংয়ের জন্য নতুন এক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের আরোপিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি হওয়ার পর থেকে অঞ্চলটির জনজীবনে গভীর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আইনের ফলে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন, নাগরিক ও সামাজিক স্বাধীনতা খর্ব হবে এবং গোটা অঞ্চলের ওপর বেইজিংয়ের কর্তৃত্ববাদ শাসন আরও মজবুত হবে।
আইনটির বিরোধিতা করে হংকংয়ের বেশ কয়েক স্থানে গতকাল বিক্ষোভ হয়। ব্যস্ততম এলাকা কসওয়ে বে’র রাস্তায় প্রতিবাদকারীরা জড়ো হলে দাঙ্গা পুলিশ তাদের ওপর পিপার স্প্রে করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে জলকামান মোতায়েন করা হয় ওই অঞ্চলে।