খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস সংক্রমিত মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক ব্রিটিশ অধ্যাপক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক ক্যারল সিকোরা বলেন, ‘করোনাভাইরাস থাকলেও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের শরীরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় নেতিবাচক ফলাফল আসবে।’
লকডাউন সহজীকরণের জন্য মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হার বুঝতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছে সরকার।
যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাদের #৩৯;ইমিউনো সুবিধাযুক্ত#৩৯; বা কোভিড অভিজাৎ ডাকনাম দেয়া হয়েছে।
তারা ‘প্রতিরোধ ক্ষমতার পাসপোর্ট’ নিয়ে পুনরায় কাজে ফিরতে সক্ষম হবেন। তবে ভাইরাস আক্রান্ত প্রত্যেকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ক্যারল।
ইমিউন প্রতিক্রিয়ার কিছু অংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সম্পূর্ণ রহস্য হিসাবে রয়ে গেছে। এর অর্থ হলো মহামারীটির আসল মাত্রা পরিমাপ করা বা যাদের করোনাভাইরাস রয়েছে তাদের বাছাই করা এবং সুরক্ষা দেয়া কখনই সম্ভব নয়।
নজরদারি পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইংল্যান্ডের ৮.৫ শতাংশ লোকের শরীরে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস রয়েছে। এ হার সম্ভবত অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যান্টিবডি এমন এক প্রোটিন যা কিছু দিনের মধ্যে একটি প্যাথোজেনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে বিকশিত হয়। যখন ভাইরাসকে অনুকরণ করে এমন ভ্যাকসিন ইনজেকশন দেয়া হয় তখন এটি তৈরি হয়।
ক্যান্সার সেন্টার রাদারফোর্ড হেলথের চিফ মেডিকেল অফিসার ক্যারল বলেন, ‘করোনা সংক্রমিত ১০ শতাংশেরও কম মানুষের অ্যান্টিবডি রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে কেবল ১০ শতাংশসংক্রমিত হয়েছে। এটি আরও বেশি হতে পারে।’