সুদীপ্ত শামীম,:
গাইবান্ধার সাঘাটায় বর্ষা মৌসুম আসার আগেই যমুনার ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে, নদীতীরবর্তী ভরতখালী ইউনিয়নের বসতভিটা, হাট-বাজার, সড়ক, আবাদী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরিভাবে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর পরও থামানো যাচ্ছে না ভাঙন। ভাঙন আতঙ্কে ইতোমধ্যেই সহস্রাধিক পরিবার বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ভাঙনের ছোবলে প্রায় দুই সহস্রাধিক জেলে পরিবারের সর্বশান্ত হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
সোমবার যমুনার ডানতীর বাঁধের সংস্কার কাজ এবং নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (রংপুর বিভাগ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহিদ। ভাঙ্গনের বাস্তব চিত্র নীতি নির্ধারক মহলে প্রেরন পূর্বক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা দক্ষিণ উল্যার মাঝিপাড়া ও আদর্শ গ্রামে নদীর দুরুত্ব ১৫০ মিটার অবস্থান হওয়ায় ওই স্থানে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ শুরু হবে বলে তিনি স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন।
এ সময় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান, ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছামসুল আজাদ শীতলসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।