করোনায় বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে ৭৪৮ লাখ কোটি টাকা : এডিবি

0
390
করোনায় বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে ৭৪৮ লাখ কোটি টাকা : এডিবি

খবর৭১ঃ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৮ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪৯৩ লাখ কোটি টাকা থেকে ৭৪৮ লাখ কোটি টাকার সমান (১ ডলার=৮৫ টাকা হিসাবে)। এই ক্ষতির পরিমাণ বিশ্ব জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

শুক্রবার কভিড-১৯ এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতির পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এমনটি আশঙ্কা করেছে সংস্থাটি। এতে বিশ্ব অর্থনীতির যে ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের একশ থেকে দেড়শ গুণের সমান। এডিবির হিসাবে অর্থনীতির ক্ষতির পাশাপাশি বিশ্বে ১৫ কোটি ৮০ থেকে ২৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ কর্মহীন হতে পারে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই এশিয়ার। করোনার প্রভাব যদি ৬ মাস পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়, সেক্ষেত্রে সারা বিশ্বের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সংস্থাটি এবারের পূর্বাভাসে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে করোনাজনিত ক্ষতির পরিমাণ এপ্রিলে প্রকাশিত পূর্বাভাসের চেয়ে দ্বিগুণ প্রাক্কলন করেছে। এডিবির হিসাবে, করোনার প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার থেকে ২১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের মতো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা থেকে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার সমান। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে করোনা মোকাবিলায় লকডাউনসহ কঠোর বিধিনিষেধের কারণে সার্বিকভাবে এই অঞ্চলে জিডিপি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে।

করোনায় অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে ৭৪৮ লাখ কোটি টাকা
সংস্থাটি জানায়, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার (৯৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা) থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলারের (১৩৬ লাখ কোটি টাকা) সমান। আর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার (১৪৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা) থেকে ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার (২১২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা)।

প্রতিবেদন বিষয়ে এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়াকি সাওয়াদা বলেন, নতুন পূর্বাভাস থেকে বিশ্ব অর্থনীতিতে কভিড-১৯ এর ভয়াবহ প্রভাবের একটি চিত্র উঠে এসেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নীতি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, করোনার প্রভাব এখন সারা বিশ্বেই স্পষ্ট। বড় বড় অর্থনীতির দেশ ইতোমধ্যে প্রবৃদ্ধি না হয়ে সংকোচনের দিকে এগুচ্ছে। সারাবিশ্বে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ সরকারি বেকার ভাতার জন্য আবেদন জানিয়েছে। প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ছাড়াও বিশ্ব অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কর্মসংস্থানের সুরক্ষা অপরিহার্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here