খবর৭১ঃ সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তসহ সব ধরনের রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পিসিআর মেশিনে টেস্টের অনুমতি দিতে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন একক ভার্চুয়াল বেঞ্চে ই-মেইল যোগে এ রিট করা হয়।
রিটে বলা হয়েছে, দেশে করোনা রোগী চিহ্নিত হবার পরে সরকার এ ধরনের সকল রোগীর চিকিৎসা ও টেস্ট নির্দিষ্ট কয়েকটি হাসপাতালে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কিন্তু গত দুই মাসে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে রোগীরা যাওয়ার পরেও করোনা সন্দেহে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে না। এর ফলে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে
সকল বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা ব্যবস্থা চেয়ে হাইকোর্টে রিটপথেই রোগী মারা যাচ্ছে। যা অমানবিক।
রিটে আরো বলা হয়েছে, যাতে প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রবেশ পথে হলুদ জোন করে সকল রোগীদের চিকিৎসা দিতে হবে এবং কোন রোগীর করোনার উপসর্গ থাকলে সাথে সাথে তাদের ওখানে থাকা অবস্থায় পিসিআর মেশিনে টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে সেভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে কোন রোগীকে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ দিতে হবে না। তাই বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সকল রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে আদালতের নির্দেশনা দেওয়া জরুরি।
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, সংক্রমণ ব্যাধি প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি/সম্পাদককে বিবাদী করা হয়েছে। মনজিল মোরসেদ ইত্তেফাককে বলেন, যদি কোন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিজস্ব পিসিআর মেশিন না থাকে তবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যে হাসপাতালে মেশিন আছে সেখান থেকে দ্রুত টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া হলুদ জোনে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পিপিই, গ্লাভস, সার্জিকাল মাক্স, অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার আইটেম এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।