খবর৭১ঃ মহামারি করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান মুক্ত হলো ভাইরাসটির ভয়াল থাবা থেকে। চার মাস পর রবিবার উহারে করোনা রোগীর সংখ্যা নেমে এলো শূন্যের কোটায়। সেখানকার কোনো হাসপাতালে এই মুহূর্তে একটিও করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি নেই।
এদিন একজন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরই এই মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং।
২৩ জানুয়ারি থেকে একটানা ৭৬ দিন লকডাউনের পর গত ৮ এপ্রিল উহান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। তবে লকডাউন উঠে গেলেও সতর্কতা অবলম্বনে কোনো আপস করেনি স্থানীয় প্রশাসন। তাতেই সাফল্য এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই এর পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন মি ফেং।
এ দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘উহানের স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে। ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছিল, এই সাফল্যেকর ভাগীদার তারাও।’
এরই সঙ্গে সমগ্র হুবেই প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২০ দিনে সেখানে নতুন করে কারও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলেনি। সমগ্র চীনেও গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশ থেকে ফিরেছেন বলে খবর। একজন গুয়াংঝৌ প্রদেশের বাসিন্দা। বাকি পাঁচজন হেলংজিয়াং প্রদেশের, সীমান্ত সংলগ্ন রাশিয়া থেকে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক জন করোন সংক্রমিত রোগী সেখানে ঢুকেছেন।
রবিবার চীনে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যুও হয়নি। এই নিয়ে টানা ১১ দিন করোনার প্রকোপে সেখানে কোনো প্রাণহানি ঘটল না। নভেল করোনার প্রকোপে সবমিলিয়ে চার হাজার ৬৩৬ জন সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন এখনো পর্যন্ত। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৯০৯ জন।
এদিকে উৎপত্তিস্থল উহান করোনার থাবা থেকে মুক্ত হলেও এখনো ভাইরাসটি ভয়াল থাবা বিস্তার করে আছে ইউরোপসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখের কোটা পেরিয়েছে, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছুঁইছুঁই।