২১ লাখ মানুষকে সাক্ষর করবে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

0
500
২১ লাখ মানুষকে সাক্ষর করবে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

খবর৭১ঃ একুশ লাখ নিরক্ষর মানুষকে করা হবে সাক্ষর। তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর বাংলা পঠন দক্ষতা নিশ্চিত করা হবে। সারা দেশের স্কুলে শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে দুপুরের খাবার।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ বা মুজিববর্ষ উপলক্ষে এমন ১৬ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কর্মসূচির বাস্তবায়ন। ওইদিন শিশুদের পাঠ করানো হবে বাবাকে নিয়ে লেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিকথা।

জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে করণীয় নির্ধারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে গত ৯ জানুয়ারি। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি যুগান্তরকে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষকে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার ভিত্তিমূলকে শক্তিশালী করার বছর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মৌলিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছি। ইতিমধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর পঠন দক্ষতা কাক্সিক্ষত মানে পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলা কাম্য লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রতিবেদন আমাদের কাছে পাঠাচ্ছে। বাকি কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জন্মশতবর্ষে ৩য় ও ৫ম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর বাংলা পঠন দক্ষতা শতভাগে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষ্যে স্কুলে স্কুলে মেন্টর বা সংস্কারকরা কাজ করছেন। চলমান স্কুল ফিডিং কর্মসূচিকে সারা দেশে চালু করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার’ কার্যকর করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের ওপর শিশু-কিশোরদের উপযোগী সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশনসহ (সিআরআই) অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত বই ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ) প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে। সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্টুডেন্টস কাউন্সিল’কে সম্পৃক্ত করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজন করা হবে।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং প্রাথমিক শিক্ষায় বিভিন্ন অর্জনের ওপর ডকুমেন্টারি তৈরি করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাপক আয়োজনের মধ্যে আগামী বছর বই বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

কর্মকর্তারা জানান, মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে নেয়া কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির দুটি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে- প্রাথমিক শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে বঙ্গবন্ধুর অবদানবিষয়ক জাতীয় সেমিনার আয়োজন এবং ২১ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান। প্রাথমিকভাবে আগামী ২৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে জাতীয় সেমিনারটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমএ মাননান।

এ ছাড়া ২১ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদানের কর্মসূচি নেয়ার কারণে এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠান আড়ম্বরপূর্ণভাবে আয়োজনের চিন্তা আছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া জেলা-উপজেলায়ও এটি পালন করা হবে। আর সাক্ষরতা দানের কর্মসূচি সফল করতে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে এনজিও কর্তৃক সুপারভাইজার নিয়োগের কাজ চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here